• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনাভাইরাস

কঠোর হচ্ছে রাজশাহীর প্রশাসন, বাজার বসার সময় নির্ধারণের কথা ভাবছেন মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

  ০১ এপ্রিল ২০২০, ১৯:৩৩
বাজার বসার সময় নির্ধারণের কথা ভাবছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন

বার বার সাবধানতা অবলম্বন করে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়ার পরও অনেক মানুষ তা না মানছে না। বাজার করতে এসে নিরাপদ দূরত্বের তোয়াক্কা করছেন না। কেউ কেউ আবার মাস্ক বা হাতে গ্লাভস না পড়েই আসছেন। তাই বাজার বসার নির্দিষ্ট সময় বেধে দেয়ার চিন্তা করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন।

সিটি করপোরেশন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে বাজারে বা বাইরে মানুষ বেশী ঘোরাফেরা করছেন তাই আমরা প্রশাসনিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার চিন্তা করছি যে প্রতিদিন বাজার বসার সময় নির্ধারণ করে দিবো। যাতে বাজারে বা রাস্তায় মানুষ একসাথে বেশী চলাচল করতে বা ঘুরে বেড়াতে না পারেন।

আজ বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সভা কক্ষে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, মানুষ না বুঝেই বাইরে বেরিয়ে আসছে তাই আমদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরও কঠোর হতে হবে। তাই জনস্বার্থেই নির্দেশনা আসতে পারে।

এদিকে, করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্তে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে (রামেক) স্থাপিত ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুরে ল্যাবটির কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী।

কার্যক্রম শুরু দিনে ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে নিয়েছেন চিকিৎসকরা। যার মধ্যে ৪টি নমুনা বগুড়া জেলা থেকে এসেছে। অপরটি রাজশাহীতে আইসোলেশনে থাকা একজন যুবকের।

ডা. নওশাদ আলী জানান, ঢাকা থেকে টেকনিশয়নদের দুইটি দল পাঁচদিন কাজ করে ল্যাবটি প্রস্তুত করেছেন। আরপি পিসিআর মেশিন স্থাপন কাজ শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। এই দিনে ২৪০টি কিট পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে ল্যাব চালু করা হয়েছে। এই ল্যাবে একদিনে সর্বোচ্চ ৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে।

তিনি আরও জানান, সবাইকে বিভাগ ভাগ করে দেয়া হয়েছে। ল্যাবে একদিনে সর্বোচ্চ ৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে সময় লাগবে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. মো. বুলবুল হাসান বলেন, আমাদের লোকজনের প্রশিক্ষণ হয়ে গেছে। করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি, ভাইরোলজি ও বায়ো-কেমিস্ট্রি বিভাগের ৩০ চিকিৎসক ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। সবকিছু ঠিকভাবে চালু হয়েছে ল্যাবটি। ২৪০টি কিট ও ২০০ পিপিইসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রয়েছে আমাদের কাছে। মাইক্রোবাইলজি ও ভাইরোলজি বিভাগ যৌথভাবে ল্যাবটি পরিচালনা করবে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh