মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে উদাহরণ তৈরি করলেন নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর
করোনার প্রাদুর্ভাবে সবাই যখন মুনাফা করতে ব্যস্ত তখন স্বেচ্ছায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করছেন কেউ কেউ। তেমনি একজন নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
সময় উপযোগী উদ্যোগ নিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এর ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
করোনা সংক্রমণ রোধে সচেতনতা বাড়াতে মাস্ক ও লিফলেট বিতরণসহ সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে সুরক্ষিত রাখতে বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের জন্য করেছেন বিশেষ ব্যবস্থা।
এছাড়াও বাজারে মুনাফালোভীদের সিন্ডিকেট বাণিজ্যের ভীড় থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা দিতে শুরু করেছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কাজ। শুধু তাই নয় বিন্যামূল্যে তা বিতরণ করা হচ্ছে হাজারো জনসাধারণ মানুষের মাঝে। এতে করে বেশ প্রশংসিত হয়েছে তিনি।
নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর নিজ কার্যালয় প্রাঙ্গণেই গড়ে তুলেছে হ্যান্ড স্যানেটিজার তৈরির একটি ছোট খাটো কারখানা। নানা উপাদান ও বোতলে সজ্জিত রয়েছে কয়েকটি টেবিল। মিশ্রণের পর যা প্রস্তুত করতে ব্যস্ত ছোট বড় কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী কর্মী।
যেখানে প্রতিদিনই চলছে হ্যান্ড স্যানেটিজার তৈরির কাজ। এতে সহযোগীতায় পাশে রয়েছেন উনার স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যা সন্তানও!
পরবর্তিতে বিন্যামূল্যে তা বিতরণ করা হচ্ছে হাজারো সাধারণ মানুষের মাঝে। ইতোমধ্যে উনার এ কার্যক্রম থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাড়া দিচ্ছেন অনেকেই।
প্রতিদিনই কার্যালয় প্রাঙ্গণে হাত ধুয়ে, গ্লাফস ও মাস্ক লাগিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিতে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ। আবার কেউ কেউ উপাদান ও প্রস্তুত প্রণালী দেখে নিচ্ছে প্রশিক্ষণও।
এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করেই আমার এই ছোট উদ্যোগ। এটা করতে সর্বপ্রথম আমার অভিজ্ঞ কিছু বন্ধুদের পরামর্শ নিয়ে কাজটি শুরু করলে কিছুটা সাড়া পাই। এরপরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ফর্মূলায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে আমারা আরও অভিজ্ঞতা অর্জন করি। প্রথম ধাপে ১০০০ বোতল, দ্বিতীয় ধাপে ২০০০ বোতল ও তৃতীয় ধাপে দশ হাজার করে এরইমধ্যে ২০ হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানানো শেষ করেছি। যা বিনামূল্যে বিতরণ করছি।
মন্তব্য করুন