স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ মামলা না নেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেন নির্যাতনের শিকার ওই তরুণীর মা।
নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্রী জানায়, গেল রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে তাকে ভয় দেখিয়ে একটি সিনজিচালিত অটোরিকশায় উঠায় ওই এলাকার এক যুবক। ওই যুবকের সঙ্গে একজন বয়স্ক মানুষ ছিল। সিএনজিতে উঠানোর পর তারা স্কুলছাত্রীকে বলে তারা যেখানে নিয়ে যাবে সেখানেই যেতে হবে। অন্যথায় মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। প্রাণভয়ে সে তাদের সঙ্গে নায়াণগঞ্জের রুপগঞ্জে যায়। সেখানে একটি ওয়াল করা টিনসেড ঘরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করতে থাকে।
গেল বুধবার বিকেল চারটার দিকে স্কুলছাত্রী ওই এলাকার এক ব্যক্তির মোবাইল ফোন থেকে তার বাবাকে ফোন দিয়ে সব ঘটনা খুলে বলে।
খবর পেয়ে মেয়ের বাবাসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বুধবার রাতেই তাকে উদ্ধার করে। সেইসঙ্গে ধর্ষক যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের স্টাফ নার্স জান্নাত আরা শিমুল।
ওই মেয়ের মা জানান, তার মেয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে না আসায় নিখোঁজের পরদিন সোমবার সকালে শিবালয় থানায় জিডি করতে যান। কিন্তু থানার পুলিশ জিডি নেননি। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ফের থানায় মামলা করতে গেলে তারা মামলা নেননি। উল্টো ধর্ষককে হাতেনাতে আটক করা হলেও অদৃশ্য কারণে পুলিশ ওই যুবককে তাদের পরিবারের কাছে তুলে দেন।
থানা পুলিশের কাছে আইনগত সহায়তা না পেয়ে তারা বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিনারি রহমান বলেন, ওই মেয়ে এবং ছেলে দুজনেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই কারণে নিজেদের ইচ্ছায় তারা দুজনে পালিয়ে গিয়েছিল।
নারায়ণগঞ্জে চাকরির সন্ধানে একটি কারখানায় যায়। কারখানায় নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিলে কারখানা কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। পরে তাদের দুজনকে আটকে রেখে মেয়ের পরিবারকে খবর দেয়।
পরে মেয়ের বাবাসহ কয়েকজন সেখানে গিয়ে তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। মেয়ের পরিবারের লোকজন ওই ছেলেকে মারধর করছে এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে গিয়ে ওই ছেলেকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে তুলে দেয়। থানায় জিডি ও মামলা না নেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না।
জেবি
মন্তব্য করুন