ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারীর চুল কেটে হাত-পা ঝলসে দেয়া হলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মধ্যযুগীয় কায়দায় খোশ নাহার আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করেছে ১৬ মামলার আসামি মোস্তাক আহেমদ ফয়সাল নামে এক ব্যক্তি।

গেলো শনিবার রাতে জেলা শহরের কাউতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খোশ নাহার হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ধর্মনগর ইউনিয়নের শিয়ালহুড়ী গ্রামের মৃত সোনাব আলীর মেয়ে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়সালকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

ঘণ্টাব্যাপী নির্যাতনে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লোহা গরম করে ছ্যাঁকা দিয়ে ঝলছে দিয়েছে। একপর্যায়ে তার মাথার চুলও কেটে ফেলা হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার খোশ নাহার জানান, ফয়সালের গ্রামের বাড়ি আমার বাড়ির পাশাপাশি। গেলো শনিবার দুপুরে সে মোবাইল ফোনে আমাকে আসতে বলে। তারপর আমি বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হোটেল ওজান ভাটির সামনে অবস্থান করি। সে এসে আমাকে গাড়িতে তুলে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। তারপর আমার হাত-পা বেঁধে দেয়। আমার কাছে টাকা দাবি করে। আমি দিতে অনীহা প্রকাশ করলে আমার ওপর চলে পাশবিক নির্যাতন। তার সঙ্গে কয়েকজন মিলে মারধর করতে শুরু করে। আমি চিৎকার শুরু করলেও কেউ শুনে না। পরে আমার হাত-পা ও গলায় লোহা দিয়ে গরম ছ্যাঁকা দিতে শুরু করে। কয়েকজন চেপে ধরে আমার মাথার চুলও কেটে দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতালেব জানান, আমরা ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করি। অভিযুক্ত মোস্তাক আহমেদ ফয়সালকেও আটক করে থানায় নিয়ে আসি।

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফয়সালের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার আশুগঞ্জ ও বিজয়নগর থানায় হত্যা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অস্ত্রসহ ১৬ টি মামলা রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

জেবি