দশম শ্রেণির ছাত্রীকে দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণ
মাদারীপুরের কালকিনিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই দিন আটকে রেখে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জামাতুল নামে এক বখাটের বিরুদ্ধে।
অসুস্থ অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে সদর হাসপাতালে।
এ ঘটনায় পলাতক জামাতুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
গেলো শুক্রবার বিকেলে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মাদারীপুর সদরের মস্তফাপুর থেকে কালকিনির এক আত্মীয়ের বাড়িতে দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে নিয়ে যায় বখাটে জামাতুল বেপারী। সেখানে দুই দিন একটি ঘরে আটকে রেখে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে সে। পরে ওই স্কুলছাত্রী তার চাচাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে সেখান থেকে গেলো রোববার সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে জামাতুলের সঙ্গে স্কুলছাত্রীর বিয়ে হবে এমন প্রতিশ্রুতিতে পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।
নির্যাতিতার পরিবার বিষয়টিতে অস্বীকৃতি জানালে জামাতুল লোকজন নিয়ে উল্টো হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্কুলছাত্রীর পরিবার।
এদিকে অসুস্থ অবস্থায় গতকাল সোমবার ওই স্কুলছাত্রীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নির্যাতিতা ওই শিক্ষার্থীর ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. অখিল সরকার।
মাদারীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক আরটিভি অনলাইনকে জানান, অভিযুক্ত জামাতুলকে ধরতে সদর ও কালকিনির দুই থানার একাধিক টিম কাজ করছে।
দিনমজুর বাবার সংসারে মা হারা ওই শিক্ষার্থী পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তৃতীয়। এক বছর আগে জামাতুলের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর।
জেবি
মন্তব্য করুন