তেতুঁলিয়ায় তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। গেল তিন দিন পর আজ তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। সোমবার সকাল নয়টায় তেতুঁলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। হাড়কাপাঁনো শীত অনুভব করছে পঞ্চগড়বাসী। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত প্রচণ্ড শীত।
আবার ভোর হতে শুরু হয় ঘন কুয়াশা কনকনে শীত। বাতাস রয়েছে পঞ্চগড়ের আবহাওয়ায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ থেকে ১৭ ডিগ্রিতে। দিনে কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও রোদের তীব্রতা নেই। সোমবার তেতুঁলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে জানান, সকাল ছয়টায় পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আশপাশের জেলাগুলোতেও তাপমাত্রা কমেছে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে এখন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে বলে জানায় তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিস।
পথচারী এবং নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাস্তাঘাটে প্রচণ্ড ঠাণ্ডার জন্য যানবাহন চলতে সমস্যা হচ্ছে। দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলছে। উত্তরের ঠাণ্ডা বাতাসে গা হিম হয়ে আসে। লেপ ও কম্বল ছাড়া ঘুমানো যায় না। অনেকেই রাত কিংবা ভোরে খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেন।
এছাড়া শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করায় জেলার হাসপাতালগুলোতে দিন দিন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদিকে দরিদ্র শীতার্তদের জন্য প্রথম দফায় প্রায় ৩০ হাজার শীতবস্ত্র পঞ্চগড়ের পাঁচটি উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। চাহিদার তুলনায় যা অপ্রতুল। পঞ্চগড়ে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার পাথর শ্রমিক আছে। প্রায় দুই লাখ ছিন্নমূল দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ আছে। এখনও পঞ্চগড়ের সকল দুঃস্থ অসহায় ছিন্নমূল মানুষেরা শীতবস্ত্র পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন