• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দ্বিতীয় দিনে পেট্রলপাম্প ধর্মঘট, বাড়ছে দুর্ভোগ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:০৮
দ্বিতীয় দিনে পেট্রলপাম্প ধর্মঘট, বাড়ছে দুর্ভোগ
দ্বিতীয় দিনে পেট্রলপাম্প ধর্মঘট, বাড়ছে দুর্ভোগ

দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে পেট্রলপাম্প ধর্মঘট। প্রথম দিনের তুলনায় আজ যানবাহন চলাচলের সংখ্যা আরও কমে এসেছে। ফলে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

রাজশাহী
রাজশাহীতে আজ সোমবার (০২ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো পেট্রলপাম্পগুলো থেকে কোনও জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। তেল না পাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকরা পড়েছেন বিপাকে।

খুলনা
খুলনায় দ্বিতীয়দিনের মতো চলছে পেট্রলপাম্প-ট্যাংক লরি ধর্মঘট। আজও শ্রমিকরা পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তিনটি ডিপোর তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধ রেখে এ কর্মসূচি পালন করছেন। এ কারণে বিপাকে পড়েছেন যানবাহন চালকরা। অনেক রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। পাম্পগুলোতে তেল আনতে গেলে গাড়িচালকদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ডিলার ডিস্ট্রিবিউটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-মহাসচিব ও খুলনা বিভাগীয় ট্যাংক লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, তিন বিভাগে চলছে জ্বালানি তেল উত্তোলন, বিক্রি ও পরিবহন বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।

কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় আজ দ্বিতীয় দিনের মতো পেট্রলপাম্পগুলো বন্ধ রেখেছে ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ও জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পরিবহন চালকরা ও কৃষকরা। তেলের অভাবে সড়কে চলাচলকারী পরিবহনের সংখ্যাও কমে গেছে।

কুষ্টিয়া পেট্রলপাম্প এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোজাফ্ফর রহমান জানান, খুলনা বিভাগীয় পর্যায় থেকে ঘোষণা দেয়ায় রোববার থেকে তারা এই কর্মবিরতি পালন করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বা পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তেল পাম্প বন্ধ থাকবে।

সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কারণে বন্ধ রয়েছে উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি তেল ডিপো। ফলে সিরাজগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলা ও টাঙ্গাইল জেলার তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে সিরাজগঞ্জের পেট্রলপাম্পগুলো। তেল সরবরাহ বন্ধ থাকায় সড়কে যান চলাচল কমে গেছে।

ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহে ২য় দিনের মতো পেট্রলপাম্পগুলোতে চলছে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। সকাল থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছে মালিক ও শ্রমিকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে মোটরসাইকেল, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনের মালিক শ্রমিকরা।

উল্লেখ্য গেল ২৬ নভেম্বর দুপুরে জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন এবং ট্যাংক লরি ভাড়া বাড়ানোসহ ১৫ দফা দাবি ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। পরে বেধে দেয়া সময়ে দাবি না মানায় তারা ধর্মঘটে যায়।

দাবিগুলো হলো- জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান-বিষয়টি সুনির্দিষ্টকরণ, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংক লরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বিমা প্রথা প্রণয়ন, ট্যাংক লরির ভাড়া বাড়ানো, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট, জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতীত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কর্তৃক আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক পাঁচ বছর অন্তর বাধ্যতামূলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ট্যাংকলরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, সুনির্দিষ্ট দপ্তর ব্যতীত সরকারি অন্যান্য দাপ্তরিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ডিলার বা এজেন্টদের অযথা হয়রানি বন্ধ, নতুন কোনও পেট্রোল পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় জ্বালানি তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু, পেট্রোল পাম্পের পাশে যেকোনো স্থাপনা নির্মাণের পূর্বে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক ও বিভিন্ন জেলায় ট্যাংকলরি থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করা।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh