• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘নামাজ পড়ে তওবা করতে বলা হয় আমাদের’

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট, গাইবান্ধা

  ২০ জানুয়ারি ২০১৭, ১৩:২২

উঠিয়ে নেয়ার ২ দিন পরে গোসল করিয়ে আমাদের ভালো খাবার দেয় এবং নামাজ পড়ে তওবা করতে বলে। জানান নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর ফেরত আসা সাদুল্লাপুর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও দামোদরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ারুল হাসান জিম মণ্ডল।

গাইবান্ধায় নিখোঁজ চার নেতার মধ্যে গেলো বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ি ফিরে আসেন জিম মণ্ডল এবং দামোদরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদেক। তাদের ফেরত আসার খবর পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকরা দক্ষিণ জামুডাঙ্গা গ্রামে মনোয়ার এবং পশ্চিম দামোদরপুর মরুয়াদহ গ্রামে সাদেকের বাড়িতে যান।

পরে সাংবাদিকদের তারা জানান, ৯ জানুয়ারি রাতে মোটরসাইকেলে করে লালবাজার থেকে নলডাঙ্গা ফেরার সময় ১৫/১৬ জন লোক আমাদের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে হাতকড়া ও চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে দেয়। দু’দিন পর আমাদের গোসল করিয়ে ভালো খাবার দেয়া হয়। পরে নামাজ পড়ে তওবা করতে বলে।

আমরা কোথায় ছিলাম বুঝতে পারিনি। নয় দিন আমাদের চোখ বাঁধা ছিল। জানান জিম মণ্ডল। আর সাদেক বলেন, তাকে ও জিম মন্ডলকে আলাদা কামরায় রাখা হয়েছিল। চোখ বাঁধা অবস্থায়ই তাদের তিন বেলা খাবার দেয়া হতো।

জিম মণ্ডল বলেন, বুধবার রাতে সৈয়দপুর শহরের কাছে ফাঁকা জায়গায় মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে আমাদের নিজেদের মোটরসাইকেল দেয়া হয়। মোটর সাইকেল চালিয়ে সামনে আসার পর সাইনবোর্ডে সৈয়দপুর লেখা দেখে বোঝা যায় নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কাছে কোথাও তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পরে নিজেদের ওই মোটরসাইকেলে তারা বাড়ি ফেরেন।

তিনি আরো বলেন, তার কোনো জিনিসপত্র খোয়া যায়নি। মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন, সোনার আংটি ও নগদ টাকাসহ সব জিনিসপত্র তিনি ফেরত পেয়েছেন।

অন্যদিকে ৯ জানুয়ারি রাতে এই দুজনের পর বৃহস্পতিবার সকালে নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুল ইসলাম প্রিন্স এবং নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক শফিউল ইসলাম শাপলাও নিখোঁজ হন।

তাদের পরিবারের দাবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে কয়েকজন তাদের তুলে নিয়ে যায়।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh