রঙের কাজ করতে বের হয়ে আর ঘরে ফেরা হলো না নূরুলের
রঙ মিস্ত্রি নূরুল ইসলাম। ঘটনার সময় পাথরঘাটা বড়ুয়া বিল্ডিং এর পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন কাজে। পাশের বিল্ডিং রঙের কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। কিন্তু চট্টগ্রামের পাথরঘাটা বড়ুয়া বিল্ডিং এর নিচতলায় বিস্ফোরণে দেয়ালের নিচে পড়ে মারা যান তিনি।
খবর পেয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসে রঙ মিস্ত্রি নূরুল ইসলামের স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা। স্বামীর নিথর দেহ দেখে আহাজারি শুরু করেন। সেসময় এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মায়ের সাথে দুচোখে বেয়ে পানি পড়ছিল তার শিশু কন্যারও।
সাদিয়া সুলতানা কান্না জড়িত কণ্ঠে আরটিভি অনলাইনকে বলেন, সকালে রঙ এর কাজ করার জন্য বের হয়েছিল নূরুল ইসলাম।
নূরুলের ভাগ্নে মেহেদী হাসান জানান, পাথরঘাটার ওই এলাকায় একটি ভবনে রঙের কাজ করছিলেন তার মামা। সকালে মামার সঙ্গে সেখানে তিনিও এসেছিলেন। ঘটনার সময় মামা বড়ুয়া বিল্ডিং এর সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। আমি ছিলাম যে বিল্ডিংটাতে কাজ চলতেছে সেটার ছাদে।
---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: চট্টগ্রামে বিস্ফোরণে নিহত ৭, আহত ২৫ (ভিডিও)
---------------------------------------------------------------
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুবের খিল এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে নূরুল নগরীর শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন বাস্তুহারা কলোনিতে থাকেন। তার এক বছর বয়সী একটি সন্তান আছে।
এদিকে, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রথম দিন, তাই ব্যস্ততা ছিল সকাল থেকে। ঘরের কাজ গুছিয়ে পথে নেমেছিলেন পটিয়ার মেহের আটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অ্যানি বড়ুয়া। কিন্তু স্কুলে পৌঁছানোর আগেই গ্যাস লাইনের বিস্ফোরণে বড়ুয়া বিল্ডিংয়ের ধসে পড়া দেয়ালের নিচে পড়ে হারিয়ে গেলেন তিনিও।
পটিয়ার উনাইনপুরার পলাশ বড়ুয়ার স্ত্রী অ্যানি। পলাশ বড়ুয়া শিকলবাহা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রপ্রকৌশলী। এই দম্পতির অষ্টম ও তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া দুই ছেলে আছে।
দুর্ঘটনাকবলিত বড়ুয়া বিল্ডিংয়ের পাশের একটি ভবনে বসবাস এই পরিবারের।
উল্লেখ্য, রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রামের পাথরঘাটা এলাকার একটি ভবনের নিচতলায় গ্যাসের পাইপলাইনে বিস্ফোরণের ঘটনার ৭ জন নিহত হয়েছেন।
এসএস
মন্তব্য করুন