২৬ দিন গণধর্ষণের পর জেডিসি পরীক্ষার্থীকে রেখে গেল রাস্তায়
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এক জেডিসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের পর আটকে রেখে ২৫-২৬ দিন ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানায় এ মামলা করেন। ওই ছাত্রী উপজেলার পাগলা থানার উস্থি ইউনিয়নের দাইরগাঁও দাখিল মাদরাসার জেডিসি পরীক্ষার্থী ছিল।
শনিবার থেকে পরীক্ষা শুরু হলেও যৌন নির্যাতনের ফলে অসুস্থ থাকায় সে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার ভোরে উপজেলার উস্থি ইউনিয়নের দাইরগাঁও মাদরাসার সামনে ওই ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ছয় অক্টোবর দাইরগাঁও গ্রামের বিপ্লব মেকার, পাশের কলুরগাঁও গ্রামের শারফুল ও ওয়াসিম খান ওই ছাত্রীকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। তখন না পেয়ে পরিবার তখন পাগলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। গেল শুক্রবার ভোরে তাকে দাইরগাঁও মাদরাসার সামনের সড়কে ফেলে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা। মসজিদে নামাজ পড়তে আসা লোকজন তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়।
---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: ধর্ষণের শিকার তরুণীর লাথি খেয়ে পালালো ৩ ধর্ষক
---------------------------------------------------------------
খবর পেয়ে পরিবারের লোবজন এসে তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর দরিদ্র বাবা বলেন, আমার মেয়ের জীবন শেষ করে দেওয়া তিন নরপশুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
স্থানীয় উস্থি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তোতা এ ঘটনাকে পৈশাচিক, নির্মম আখ্যা দিয়ে জড়িতদের কঠোর বিচার দাবি করেন। পাগলা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান বলেন, এ ঘটনায় রাতেই মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামি দের ধরতে পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করছে।
জেবি
মন্তব্য করুন