প্রাইভেটকার উল্টে একই পরিবারের চারজন নিহত
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আজ শুক্রবার সকালে দ্রুতগতির একটি বাসের চাপায় প্রাইভেটকারের স্বামী-স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েসহ চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। পরিবারের একমাত্র বেঁচে যাওয়া তিন বছরের শিশুকন্যা নাহিদ ও প্রাইভেটকারচালক সেলিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার সুসং দুর্গাপুরে। তারা বসবাস করতেন নরসিংদী জেলার মাধবদিতে। এরা স্বপরিবারে ঈদের ছুটিতে এক চাচার বিয়ে উপলক্ষে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর শুশুড়বাড়ি এসেছিলেন।আজ শুক্রবার অনুষ্ঠান শেষে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশে মাধবদি ফিরছিলেন।
নিহতরা হলো- মাধবদি বাংলা টেক্সটাইলের মালিক রফিকুল ইসলাম (৪৫), তার স্ত্রী শামসুন্নাহার শাহীনা (৩৫), কলেজ পড়ুয়া ছেলে নাবিল ইসলাম (১৯) ও মেয়ে রওনক জাহান (১৩)।
---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: পিকনিকের বাস উল্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
---------------------------------------------------------------
গৌরীপুর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন ঈদের ছুটি শেষে নিজের প্রাইভেটকারে বর্তমান ঠিকানা মাধবদি ফিরছিলো। সকাল ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর নামকস্থানে পৌঁছলে কিশোরগঞ্জগামী এমকে পরিবহনের দ্রুতগতির অপর একটি বাস ওভারটেক করার সময় চাপা দেয়।
এতে প্রাইভেটকারটি রাস্তার পাশে একটি বড় গাছে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শামসুন্নাহার শাহীনা মারা যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থল পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় রফিকুল ইসলাম, তার ছেলে নাবিল ইসলাম, দুই কন্যা রওনক জাহান ও নাহিদ এবং প্রাইভেটকারচালক সেলিমকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম, নাবিল ইসলাম ও মেয়ে রওনক জাহানকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ বাসটি আটক করেছে। চালক পালিয়ে গেছে।
জেবি
মন্তব্য করুন