• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

  ১৬ আগস্ট ২০১৯, ১২:৪৩
কনস্টেবল, পুলিশ , ধর্ষণ, মামলা

রংপুর জেলায় কর্মরত আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে পুলিশ সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক ও তাকে সহায়তাকারী আমিনুল ইসলামকে আসামি করে গেল বুধবার গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযোগটি থানায় এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং বিকেলে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বারবলদিয়া বেকাটারী গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে এবং আমিনুল একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, কনস্টেবল আবু বক্কর সিদ্দিক ধর্ষিতার প্রতিবেশী। আবু বক্কর সিদ্দিক কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়তে মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলত। আবু বক্কর সিদ্দিক ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে গেল ১১ আগস্ট প্রতিবেশী কফিল উদ্দিনের ছেলে ফেরদৌস মিয়ার স্ত্রীর সহযোগিতায় তার বাড়িতে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।

একইভাবে ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে কলেজছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বসতবাড়ির সামনের দিকে থাকা ডিপমেশিন ঘরের দক্ষিণ পাশে বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে আবু বক্কর সিদ্দিক। উভয় ঘটনায় আমিনুল ইসলাম সহযোগিতা করে তাকে।বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ধর্ষিতা লোকলজ্জায় কিটনাশকপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ওইদিন রাতে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ধর্ষিতার মা অভিযোগ করেন, আবু বক্কর সিদ্দিক পুলিশ সদস্য হওয়ায় সে ও তার লোকজন মামলা না করতে নানা রকমের হুমকি দিয়ে আসছিল। ১৪ আগস্ট থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে ধর্ষক আবু বক্কর সিদ্দিকের পরিবারের পক্ষ থেকে থানা পুলিশ ও বিভিন্ন মহলে দেন-দরবার করে মামলা রেকর্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় যানবাহনের চাপ বাড়ছে
---------------------------------------------------------------

ধর্ষিতার মা বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চাওয়ার ব্যাপারে আমি অটল থাকায় গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহরিয়ার গতকাল ১৫ আগস্ট অভিযোগটি এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন। তিনি আরও বলেন, মামলা হওয়ার পর পরেই আমাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষক পরিবার মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।

শুক্রবার সকালে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেপ্তারের জন্য বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অপর আসামি আমিনুলকেও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৩৯
টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
নড়াইলে মাদক মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন
মেয়েকে ধর্ষণে বাবার মৃত্যুদণ্ড
X
Fresh