• ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo

১৫ জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২০৮

আরটিভি অনলাইন

  ২৮ জুলাই ২০১৯, ০৯:০০
দেশের বিভিন্ন জেলার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা
১৫ জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২০৮

দেশের বিভিন্ন জেলার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

খুলনা বিভাগের খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহ, নড়াইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও বাগেরহাটে চলতি মাসের ২২ দিনে ৭১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৪ জন, খুলনা সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নয়জন ও গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন ভর্তি হয়েছেন। এ পর্যন্ত দুজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে তাদের মৃত্যু যে ডেঙ্গুর কারণেই হয়েছে তা নিশ্চিত না।

সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি নয়জনই ঢাকা থেকে আসার পর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন বলে স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে।

---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: পাবনা-লক্ষ্মীপুরে ১৮ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
---------------------------------------------------------------

খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. ফেরদৌসী আক্তার বলেন, ৩ জুলাই বিভাগীয় পর্যায়ে ডেঙ্গু রোগের তথ্য সংরক্ষণের জন্য সেল খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭১ জন শনাক্ত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম বন্দরনগরীতে ১৫ দিনে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে পাঁচজন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে নগরীর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

চট্টগ্রামে সিভিল সার্জন অফিস ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৪৯ জন রোগী শনাক্ত করেছে। তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, সর্বশেষ শুক্রবার সাতজন রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র আটজন ছিল। কিন্তু ২০ থেকে ২৬ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ জন। আর গেল ছয়মাসে এ সংখ্যা ছিল মাত্র তিনজন।

ফেনী সদর হাসপাতালে গেল ১৫ দিনে ৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ২১ জন এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং ছয়জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন একজন। অন্য চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ জেলায় চিকিৎসা নেয়াদের বেশির ভাগই রাজধানীতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা আবু তাহের পাটোয়ারি জানান, শনিবার পর্যন্ত ২১ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। মোট চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৪ জন।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. নেয়াতুজ্জামান বলেন, ফেনীতে এখন পর্যন্ত কোনও এডিস মশার জীবাণু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। যারা এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম থেকে জীবাণু নিয়ে আসছেন।

রংপুরে গেল আট দিনে ২১ জন রোগী রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তারা সবাই ঢাকায় থাকতেন। সেখানেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. সুলতান আহমেদ জানান, রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। তারা বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।

শেরপুর জেলা হাসপাতালে শনাক্ত হয়েছেন তিনজন ডেঙ্গু রোগী। তারা সবাই ঢাকায় জ্বরে আক্রান্ত হয়। পরে বাড়ি ফিরে হাসপাতালে ভর্তি হলে পরীক্ষায় এ রোগ ধরা পড়ে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক খাইরুল কবির সুমন বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য হাসপাতালে আলাদা বেডের ব্যবস্থা করা হবে। আমরা এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছি।

পিরোজপুর স্বরূপকাঠি উপজেলায় একজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন। আক্রান্ত নুর ইসলাম রাহুতকাঠী গ্রামের বাসিন্দা।

পাবনা সদর হাসপাতালে গেল চারদিনে ১২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। তারা বেশির ভাগই ঢাকায় ছিলেন। জানা যায়, রাজধানী থেকে ফেরার পরই তারা জ্বরে আক্রান্ত হন এবং চিকিৎসকের কাছে গেলে রক্ত পরীক্ষা করে তাদের ডেঙ্গু ধরা পড়ে।

সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, এদের মধ্যে ১০ জন ঢাকায় অবস্থানকালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয় পর্যায়ে দুজন রোগীকে আমরা পেয়েছি।

পাবনার সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল বলেন, যারা ভর্তি আছেন তাদের সঠিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, শনিবার বিকেল পর্যন্ত ছয়জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজার জেলার উকিনো নুশাং (১৯)- নাম এক ছাত্রী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

শনিবার সদর হাসপাতাল থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মহিউদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতে পরীক্ষা করে উকিনোর মধ্যে ডেঙ্গুর জীবাণু পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কক্সবাজারে বসবাসকারী কোনও ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়নি। যারা আছে তারা সবাই ঢাকা থেকে জীবাণু নিয়ে এসেছেন।

সূত্র: ইউএনবি

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা সফল: মেয়র তাপস
ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও একজনের, চলতি বছরে ৩৩
ডেঙ্গু রোগীর বাড়িসহ আশপাশে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ
শঙ্কা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু, একদিনে ৩ জনের মৃত্যু
X
Fresh