ছয় দিন ধরে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক নেই কাউখালীতে
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় গেল ২৫ মে থেকে গ্রামীণ ফোনের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীরা। অফিসিয়াল কাজে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। অনেক দপ্তর ইন্টারনেট নির্ভর হওয়ায় একরকম বন্ধ হয়ে গেছে অফিসিয়াল কার্যক্রম। ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে।
বিভিন্ন সরকারি অফিস ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেকটি অফিসেই গ্রামীণফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ছয়দিন নেটওয়ার্ক না থাকায় দৈনন্দিন কার্যক্রম দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল ফোন নাম্বার গ্রামীণ হওয়াতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।
কাউখালী উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী রুবেল জানান, বর্তমানে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলমান রয়েছে। প্রত্যেকদিন জেলা অফিস, আঞ্চলিক অফিস ও সচিবালয়ে রিপোর্ট দিতে হয়। কিন্তু গ্রামীণের নেটওয়ার্ক না থাকায় তা দেয়া যাচ্ছে না। আমাদের অন্য কোনও অপারেটরের নেট ব্যবহারেরও কোনও সুযোগ নেই। কমিশন থেকে দেয়া এ সিমটি ছাড়া অন্য কোনও কিছু দিয়ে আমাদের নিজস্ব সাইড ব্যবহার করা যায় না। নেটওয়ার্ক না থাকায় আইডিকার্ড সংশোধন ও হারানো কার্ডের কাজও করা যাচ্ছে না।
উপজেলা সদরের মোবাইল রিচার্জের ব্যবসায়ী মাসুদ টেলিকমের মালিক মো. মাসুদ করিম আরটিভি অনলাইনকে জানান, প্রায়ই গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে এমন সমস্যা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে সিম পরিবর্তন করেছি কয়েকটা। এই অবস্থা চলতে থাকলে গ্রামীণফোন ব্যবহার করা ছেড়ে দিতে হবে।
গ্রামীণফোনের রাঙামাটির অ্যারিয়া ম্যানেজার ক্যামপং চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে আমি মেইল করেছি। ফিডব্যাক পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। পার্বত্য অঞ্চল হওয়াতে এখানে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যায় না। এখানে কাজের জন্য প্রশাসনিক অনুমতি নেয়ার চেষ্টা চলছে। অনুমতি পেলেই কাজ শুরু হবে। বিষয়টির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
জেবি/এসএস
মন্তব্য করুন