চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার হুমকি, গ্রেপ্তারের দুই ঘণ্টা পর জামিনে মুক্ত ছাত্রলীগ নেতা
সিলেট উইমেনস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা হুমকির মামলায় ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হলেও দেড় ঘণ্টা পরেই জামিনে মুক্তি পান তিনি।
জানা যায়, আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বেলা ১টার দিকে কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ফেরার পথে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় সারোয়ার জামিন নিয়েছে বলে পুলিশের কাছে দাবি করলেও কোনও কাগজ দেখাতে পারেননি। তাই তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জামিনের কাগজপত্র থানায় দেখিয়ে মুক্তি পান তিনি।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া আরটিভি অনলাইনকে বলেন, সিলেট উইমেনস মেডিকেলের দায়ের করা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ারকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়া হয়৷ পরে কোর্ট থেকে এ মামলায় জামিন নেয়ার কাগজ দেখালে আমরা তাকে ছেড়ে দেই।
উল্লেখ্য, গেল বৃহস্পতিবার (৯ মে) সিলেট উইমেনস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগ নেতা সরোয়ার হোসেন চৌধুরী তার এক বন্ধুকে অ্যাপেন্ডিসাইটিস সংক্রান্ত জটিলতার চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন এবং কর্তব্যরত ডাক্তারকে তার ১৫/২০ জন অনুসারীর সামনে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন। ডাক্তার নিশাত তাদের বেরিয়ে যাওয়ার কথা বললে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সরোয়ার ছুরি নিয়ে ডাক্তারের উপর হামলা ও তাকে ধর্ষণের হুমকি দেন।
সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরোয়ারকে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন।
এদিকে, ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক ইন্টার্ন নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি এবং লাঞ্ছনার প্রতিবাদে সিলেট উইমেনস মেডিকেল কলেজে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।
চতুর্থ দিনের মতো মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের সকল হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। দুপুরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
তাদের অন্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- মঙ্গলবার বিকেল ৪ থেকে ৬টা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ রাখা এবং বিএমএ সভাপতি ও সম্পাদক, সিভিল সার্জন, ডেপুটি ডিরেক্টও (স্বাস্থ্য), মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান।
এসএস
মন্তব্য করুন