নুসরাত হত্যা: গায়ে কেরোসিন ছেটানো সেই গ্লাস উদ্ধার

মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শরীরে আগুন দেয়ার সময় কেরোসিন ছেটাতে যে গ্লাসটি ব্যবহার করা হয়েছিল সেটি মামলার আলামত হিসেবে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গতকাল বুধবার (৮ মে) রাতে সাইক্লোন শেল্টারের দ্বিতীয় তলায় অধ্যক্ষের দপ্তরের সামনের ওয়াল কেবিনেটের ভেতর থেকে গ্লাসটি মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, রিমান্ডে থাকা মামলার আসামি শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম ও জাবেদ হোসেন ও জোবায়ের আহম্মদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের তিনজনকে নিয়ে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় অভিযানে যায় পিবিআই। মাদরাসার প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় অধ্যক্ষে দপ্তরের সমানের ওয়াল কেবিনেট থেকে গ্লাসটি উদ্ধার করা হয়েছে।

ওই তিন আসামি এর আগে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও মামলায় অধিকতর তদন্তের জন্য বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে আরও এক দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওই আসামিরা নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার সময় কেরাসিন ছিটানোর জন্য একটি গ্লাস ব্যবহার করার কথা বলেছিল। এর ভিত্তিতেই তাদের নিয়ে রাতে মাদ্রাসায় অভিযান চালানো হয়।

পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, পরিদর্শক মো. মোনায়েম হোসেন, পরিদর্শক লুৎফুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে হত্যাকাণ্ডের সময় বোরকা পরিহিত থাকা শাহাদাত হোসেন শামীম ও জোবায়ের আহম্মদের দুটি বোরকা উদ্ধার করা হয়।

আলোচিত এ মামলায় এ পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এ মামলায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১২ জন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যায় নুসরাত জাহান রাফি।

এসএস