শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ
শেরপুরের নকলার পাঠাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছাত্রীটি গতকাল শনিবার প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে গেল বুধবার সে প্রধান শিক্ষকের নিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন ফরিদুল ইসলাম।
এই ঘটনায় গতকাল শনিবার ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গেল সোমবার ওই ছাত্রীকে লাইব্রেরিতে ডেকে নিয়ে যান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম। সেখানে তিনি ছাত্রীকে বলেন, প্রতিবছর স্কুল পরীক্ষায় ছাত্রীকে প্রথম করবেন তিনি। বিনিময়ে তাকে নিরিবিলি একঘণ্টা করে সময় দিতে হবে। বিষয়টি শুনার পর ছাত্রী লজ্জায় বাড়ি চলে যায়। এরপর গেল বুধবার ছাত্রী স্কুলে গেলে ওই শিক্ষক সিঁড়ি কক্ষে তাকে উত্ত্যক্ত করেন। ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে বাড়ি চলে আসে ছাত্রী। পরদিন বৃহস্পতিবার আর স্কুলে যায়নি সে।
------------------------------------
আরো পড়ুন: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগানো গাড়ি থেকে ৮০ কেজি গাঁজা উদ্ধার
------------------------------------
ছাত্রীর বাবা স্কুলে না যাওয়ার বিষয়টি মেয়ের কাছে জানতে চান। পরে ছাত্রী বাবাকে সব খুলে বলে। এরপর গতকাল শনিবার ছাত্রীর বাবা মেয়েকে স্কুলে নিয়ে ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
তবে অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক। রাজনৈতিক কারণে বিদ্যালয়ের একটি চক্র তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য ওই ছাত্রীকে দিয়ে সাজানো নাটক করেছে।
এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ বি এম বেনজির বলেন, ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত শিক্ষক দোষী হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে নকলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে শনিবার ওই বিদ্যালয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। ঘটনাটি দ্রুত তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনা সত্য হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেবি
মন্তব্য করুন