• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দাগনভূঞার একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়টির জাতীয়করণ চান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

আজাদ মালদার, ফেনী

  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩৭

প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছর পরেও জাতীয়করণের কোনও উদ্যোগ নেই ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়টির। এলাকাবাসী ও স্কুল কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করণ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের ভাষ্য, বর্তমান সরকার নারী শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও এই বালিকা বিদ্যালয়টির কোনও পরিবর্তন হয়নি।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে স্থানীয় জনগণের অর্থায়নে এই বালিকা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১৭০০ ছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছেন ৩৩ জন। গত বছর জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার যথাক্রমে ৯০ পার্সেন্ট ও ৮৫ পার্সেন্ট।

বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী সায়মা আফরোজ ও পিয়াস তারিন বলেন, দেশের কোথাও এত বড় একটি বালিকা বিদ্যালয় অবহেলিত নেই। বিদ্যালয়টির করুণ অবস্থা দেখে আমাদের কষ্ট হয়। বর্তমান সরকার এই বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করে আমাদের প্রাণের দাবি পূরণ করবে সেই আশাই রাখি।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসিনা আক্তার বলেন, স্বাধীনতার পর কত শত বিদ্যালয় জাতীয়করণ হয়েছে। অথচ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়টি জাতীয়করণে কারও নজর নেই। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও অবহেলিত।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯০ সালে এ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করি। প্রতিবছর আশা করি বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করণ করা হবে। কিন্তু বরাবরেই আমরা হতাশ হই। আমরা দ্রুতই বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের ঘোষণা চাই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন আরটিভি অনলাইনকে জানান, এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। তবে আশার কথা ‘এনটিআরসিএ’ নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। আশা করি এ সংকট কেটে যাবে। ভবন সংকটের কারণে পাঠদানে অসুবিধা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল বাশারের সহযোগিতায় ও বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে গতবছর একটি তিনতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে একটি বহুতল ভবনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ২০০৭ সালের পর সরকারিভাবে কোনও ভবন পায়নি বিদ্যালয়টি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা আশা করছি জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়া উপজেলার একমাত্র বিদ্যালয়টিতেও লাগবে।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবুল বাশার আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বিদ্যালয়টি উপজেলার একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়। এটি এখনও জাতীয়করণ হয়নি মানতে কষ্ট হয়। আমি বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা দেখে অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হলে নারী শিক্ষার প্রসারে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানিয়েছি। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করব। আশা করি তিনি আমাদের নিরাশ করবেন না।

জেবি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শিক্ষার্থীদের স্বস্তি দিতে ক্লাসরুম হয়ে গেল ‘সুইমিং পুল’
এশিয়ার সেরা ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই বাংলাদেশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, মানছেন না শিক্ষার্থীরা
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়ছে
X
Fresh