ধর্ষণ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তরুণীকে ইয়াবা সেবন করিয়ে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছে তদন্ত কমিটি।
সোমবার বিকেলে ওই তরুণী সাটুরিয়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করে।
এর আগে রোববার পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামিমের কাছে ওই তরুণীর লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর তার নির্দেশে ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মানিকগঞ্জ সদর সার্কেল) হাফিজুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হামিদুর রহমান সিদ্দিকী অভিযোগের তদন্ত করেন।
হাফিজুর রহমান জানান, তদন্ত কমিটির কাছে নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন। দিনভর প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে ওই তরুণী পুলিশ সুপারের কাছে যে অভিযোগ করেছেন তার সত্যতা রয়েছে।
ওই তরুণীর করা মামলাটি তদন্তের ভার দেয়া হয়েছে সাটুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদকে। তিনি জানান, ওই তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষাসহ প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করা হবে।
তিনি বলেন, অপরাধীকে পুলিশ সদস্য হিসেবে দেখার কোনও সুযোগ নেই। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর ইসলাম জানান, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বাদী হয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা করেছেন। তারা বর্তমানে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উপ-পুলিশ পরিদর্শক সেকেন্দার হোসেন আশুলিয়া থানায় থাকার সময় এক নারীর কাছ থেকে এক লাখ টাকা ধার নেন। কথা ছিল জমি বিক্রির লাভ তাকে দেয়া হবে। কিন্তু টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকেন। সাটুরিয়া থানায় বদলি হয়ে আসার পরও সেকেন্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।
বুধবার বিকেলে প্রতিবেশী ভাগ্নিকে নিয়ে সাটুরিয়া থানায় আসেন ওই নারী। সেকেন্দারের টাকা দেবেন জানিয়ে তাদেরকে সাটুরিয়া ডাকবাংলোতে নিয়ে যান। সন্ধ্যার পর সাটুরিয়া থানার এএসআই মাজহারুল ইসলামকে ডাকেন সেখানে। পরে একটি কক্ষে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ওই তরুণীকে জোড় করে ইয়াবা সেবন করান এবং দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
এসএস
মন্তব্য করুন