• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নাব্যতা সংকটে ফের জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

  ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:২০

রাজবাড়ী সদর উপজেলার পদ্মার ধাওয়াপাড়ার জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ নৌপথের পদ্মা নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে দ্বিতীয় দফায় এ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করেছে রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগ। গত এক সপ্তাহ যাবত বন্ধ রয়েছে এ রুটে ফেরি চলাচল। এর আগে গত নভেম্বর মাসে টানা পাঁচ দিন বন্ধ ছিল জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ রুটে ফেরি চলাচল।

গত ১৮ জানুয়ারি থেকে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এই রুটে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এই ঘাটের ইজারাদার ড্রেজিং করছে।

জানা যায়, রাজবাড়ী ধাওয়াপাড়া জৌকুড়া ও পাবনার নাজিরগঞ্জ নৌরুটের ফেরি সার্ভিসটি রাজবাড়ী সড়ক বিভাগের আওতায় পরিচালিত হয়। প্রতিদিন এই রুট দিয়ে যাত্রীবাহী পরিবহনের পাশাপাশি ছোট গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পারাপার হয়ে থাকে। নাব্যতা সংকটের কারণে গত শনিবার থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে নৌপথের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সড়ক বিভাগ।

দেশের উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের সহজ ও কম সময়ে সড়ক পথের মাঝে পদ্মার ধাওয়াপাড়া ঘাটে গত ২০০০ সাল থেকে রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ছোট ২টি ফেরি দিয়ে এই ফেরি সার্ভিস চালু হয়। তবে এ পথে যোগাযোগ বাড়তে থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোনও কার্যকারী উদ্যোগ না নেয়ায় ফেরি সার্ভিসের কোনও উন্নতি হচ্ছে না।

এদিকে নৌরুটটি বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পরেছে যাত্রীরা। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় নদী পারাপার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

পাবনা যাবার উদ্দেশ্যে রাজবাড়ীর জৌকুড়া ফেরিঘাটে এসে মোতালেব ব্যাপারী বলেন, নৌরুটটি বন্ধ সেটি আমাদের জানা ছিল না। রাজবাড়ী থেকে খারাপ রাস্তা দিয়ে পরিবার নিয়ে জৌকুরা ফেরিঘাটে এসে ফিরে যাচ্ছি।

ভ্যানচালক করিম শেখ বলেন, ফেরি বন্ধ থাকার কারণে আমরা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে নদী পার হচ্ছি।

রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কে বি এম সাদ্দাম হোসেন জানান, পদ্মা নদীতে নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হলে দুই দিনের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। কিন্তু বিআইডব্লিটিএ’র ড্রেজিং মেশিন না পাওয়ার কারণে সাত দিনেও নৌরুটটি চালু করতে পারিনি।

তিনি বলেন, ২৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থেকে একটি ড্রেজিং মেশিন এনে খনন কাজ শুরু করা হবে। ড্রেজিং সফল হলে আগামী ২৫ তারিখে নৌরুটটি সচল করার উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটের পদ্মা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে রাজবাড়ী সড়ক বিভাগ কাজ করছে। যার কারণে এই রুটে সাময়িক ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। ড্রেজিংয়ের কাজ শেষে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হবে। তবে ফেরিঘাট স্থানান্তরিত করতে হলে দুই একদিন সময় বেশি লাগতে পারে।

আরো পড়ুন:

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh