দালালের হাত থেকে নারীসহ ১০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ মাঝের পাড়া থেকে ছয় নারীসহ ১০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে র্যাব।
এসময় এক দালালকে আটক করা হয়। আটককৃত দালাল হলেন সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ মাঝের পাড়ার ফজলুল হকের ছেলে আব্দুর রহমান (২৫)।
শুক্রবার ভোর রাতে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ মাঝের পাড়া এলাকা থেকে এসব রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করা হয়।
তারা সবাই উখিয়া কুতুপালং-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
উদ্ধার রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে একটি দালালচক্র তাদের জড়ো করে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ মাঝের পাড়ায় আব্দুর রহমানের বসত বাড়িতে।
কক্সবাজার র্যাব-৭ ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানান, তারই নেতৃত্বে র্যাব-৭ এর একটি বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহপরীরদ্বীপ মাঝের পাড়ার আব্দুর রহমানের বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে।
এসময় এক দালালকে আটক করতে সক্ষম হয়। এদের প্রত্যেককে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা বলে জড়ো করে। তিনি আরও জানান, উদ্ধার রোহিঙ্গাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নুর আলম আব্দুর রহমান(২৫) প্রত্যেক রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে তাদের সাগর পথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাচ্ছিল।
উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গারা হলেন, মো. জিয়া, রশিদ ইল্লাহ, নুর আলম, মো. জাবের, মো. মোকাদেছা, জান্নাত আরা, সেতেরা, জোলেখা, রোজিনা ও সলিকা।
তারা সকলেই উখিয়া, কতুপালং, জাদিমুরা, মৌচনী ও টেকনাফ রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা ও র্যাব-৭ সূত্রে জানা যায়, মানবপাচারকারী একটি দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে টাকার বিনিময়ে সাগর পথে মালয়েশিয়া যেতে চেয়েছিল রোহিঙ্গারা।
টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ঘাট থেকে তাদের নৌকায় তুলে পাচারকারের উদ্দেশ্যে অবস্থান নেয়। পাচারকারীরা বলেছিল, গভীর সাগরে একটি বড় জাহাজে রোহিঙ্গাদের তুলে দেয়া হবে। এর জন্য দালাল চক্রকে রোহিঙ্গারা জনপ্রতি ১০-১৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিল। ভোরে এই রোহিঙ্গাদের টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ মাঝের পাড়ায় আব্দুর রহমানের বসতবাড়িতে জড়ো করে।
আটক দালাল ও রোহিঙ্গাদেরকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন :
জেবি
মন্তব্য করুন