• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

একইদিনেই প্রতিমন্ত্রী পলকের দুই ভাইয়ের মৃত্যু

আরটিভি অনলাইন

  ১৯ জুলাই ২০১৮, ০৯:২৪

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের খালাতো দুই ভাই মারা গেছেন।

বুধবার রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

প্রতিমন্ত্রী পলকের ওই দুই ভাই হলেন নাটোরের সিংড়া পৌর শহরের চাঁদপুর মহল্লার আলহাজ আব্দুর রহিমের ছেলে আলহাজ আবুল কালাম আজাদ ওরফে নজু (৫০) ও আলহাজ গোলাম কিবরিয়া (৬২)।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সিংড়া বাজারের মেসার্স প্রিয়ন্ত ট্রেডার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও চৌগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ আবুল কালাম আজাদ ওরফে নজু বুধবার ভোরে অসুস্থ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে অপর সহোদর বড় ভাই আলহাজ গোলাম কিবরিয়া একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : যেভাবে জানবেন এইচএসসি’র ফলাফল
--------------------------------------------------------

পরে উপজেলা কোর্ট মাঠে পৃথক পৃথক জানাজা শেষে বালুয়া বাসুয়া কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।

ভাই হারানোর পর প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, একদিনে দুই ভাইয়ের লাশের ভার বইতে হল!

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর থেকে প্রিয়ন্ত, টিটু, মিঠু, কলিনের সাথে সার্বক্ষণিক কথা হচ্ছিল। হাসপাতালের ডিরেক্টর নজু ভাইকে ভর্তি করার সময় থেকেই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছিলেন। তারপর কিবরিয়া ভাইকেও নিতে হল একই হাসপাতালে। ভোরবেলা যখন নজু ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সিংড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম তখনও কিবরিয়া ভাই ছিলেন সিসিইউ তে। মিঠু সিংড়ায় নজু ভাইয়ের জানাজা, দাফনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। টিটু আর কলিন রাজশাহীতে কিবরিয়া ভাইয়ের সাথে। নাটোর পৌঁছানোর আগেই প্রথমে টিটু, একটু পরেই কলিনের ফোনকল- "চাচা, আব্বু নাই!" আমার নিজেরই বাকরুদ্ধ হয়ে আসছিল। ওদেরকে তবু সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা। সিংড়া এসে সরাসরি নজু ভাইয়ের বাড়িতে। প্রিয়ন্তর নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকানো যায় না। বাদ জোহর নজু ভাইয়ের জানাজা সম্পন্ন করলাম। বালুয়াবাসুয়া কবরস্থানে দাফন করা হল নজু ভাইকে। নিজের ছোট ছেলেকে চিরবিদায় জানিয়ে বড় ছেলের লাশের অপেক্ষায় আমার খালা। কিবরিয়া ভাইয়ের এর আগেও স্ট্রোক হয়েছিল। সে যাত্রায় মহান আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় আবার সুস্থ হয়ে ফিরেছিলেন আমাদের মাঝে। এবারে আর রক্ষা হল না। নজু ভাই দিব্যি সুস্থ স্বাভাবিক ছিলেন। কিছু বুঝে উঠার সময়ও দিলেন না। মাত্র ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ ভাইয়ের লাশ আমার কাঁধেই ভারী হয়ে গেল। তাদের নিষ্পাপ সন্তানদের কি সান্ত্বনা দিব?

খালাতো ভাই হলেও আমাদের সম্পর্ক আপন ভাইয়ের থেকে কিছু কম ছিল না। ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক জীবনে কিবরিয়া ভাই ছিলেন আমার অন্যতম একজন অভিভাবক। নজু ভাই রাজনৈতিক সহযোদ্ধা। কত স্মৃতি, কত সুখ-দুঃখের ভাগাভাগি। সব স্মৃতি পেছনে ফেলে দুইজনই আজ চিরবিদায় নিলেন।

মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমার ভাইদের জান্নাতবাসী করেন। পরিবারের সবাইকে যেন এই শোক সইবার শক্তি দেন। সবাই কিবরিয়া ভাই এবং নজু ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।

এদিকে পলকের দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ উপজেলার বিভিন্ন সংগঠন গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

কেএইচ/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‌‘অপতথ্য রোধে সরকার, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ একসঙ্গে কাজ করতে পারে’
দেশের প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য নিয়ে কাজ করার আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী
এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি ভর্তি নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
X
Fresh