সংঘর্ষের পর রুয়েটে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত
আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এঘটনায় রুয়েট ছাত্রলীগ কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শহীদ আবদুল হামিদ হলে এ সংঘর্ষে আটজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনার পরপরেই রুয়েটে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন খান বলেন, এক সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতাকে সম্মান না দেখানোর অভিযোগ নিয়ে রাতে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
রাত সোয়া ১১টার দিকে রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমান নিবিড় ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপুর সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি।
এরপর সভাপতির সমর্থকরা জড়ো হয়ে হলের গেট বন্ধ করে দেন এবং অন্যপক্ষের সমর্থকদের পিটিয়ে জখম করেন। রাত সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ ও নগর ছাত্রলীগের নেতারা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: দেহ থেকে বের হলো ২ কেজি স্বর্ণ
--------------------------------------------------------
হলের ভেতরে সংঘর্ষ চলাকালে তিনটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে আহত অবস্থায় আটজনকে নেয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শফিকুল ইসলাম শফি জানান, ওই আটজনের মধ্যে মিতুন নামের একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর রানা, রাজন, আশিক, অর্ণব, আবির, রাজ ও মাহাথিকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তারা সবাই রুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপুর সমর্থক।
রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব বলেন, পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে তারা রুয়েট ক্যাম্পাসে যান।
পরে পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি শান্ত হলে হামিদ হল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে সংঘর্ষের পর রাতেই রুয়েট ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ জানান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ওই সিদ্ধান্ত সংগঠনের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
কমিটি স্থগিতের পাশাপাশি নাঈম রহমান নিবিড় ও মাহফুজুর রহমান তপুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না-তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের জানাতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি রাতে শহীদ আবদুল হামিদ হলে এই দুইপক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষে ১১ জন আহত হন। নেশা করে হলে মাতলামি করাকে কেন্দ্র করে ওই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
মতিহার থানার ওসি শাহাদত হোসেন খান বলেন, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ক্যাম্পাসে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
জেবি/জেএইচ
মন্তব্য করুন