ধর্ষণের লজ্জা সইতে না পেরে গায়ে আগুন, অতঃপর মৃত্যু
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরাদি ইউনিয়নে ধর্ষণের লজ্জা সইতে না পেরে কেরাসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সোনিয়া আক্তার (১৪)। এতে তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার তাঁর মৃত্যু হয়।
সোনিয়া চরাদি ইউনিয়নের হলতা গ্রামের দুলাল খানের মেয়ে ও চরাদি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল বলে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুদুজ্জামান আরটিভি অনলাইনকে জানান।
মাসুদুজ্জামান জানান, জানতে পেরেছি বুধবার প্রতিবেশীর বাসায় যৌন হয়রানির শিকার হন সোনিয়া। পরে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা মনিটরিং করছি। তবে নিহতের পরিবার কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
সোনিয়ার বাবা দুলাল খান জানান, গেল বুধবার সকালে প্রতিবেশী পান্নু খানের বখাটে ছেলে আসাদ খান ডিম ভেজে দেয়ার কথা বলে সোনিয়াকে ধর্ষণ করে। সে সময় তার বাবা-মা বাসায় ছিল না। পরে নিজ ঘরে গিয়ে ওই দিন বেলা ১২টায় সে লজ্জায় নিজের শরীরে কোরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের শিশু সার্জারি বিভাগে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার দুপুরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। রোববার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোনিয়ার মৃত্যু হয়।
এমসি/পি
মন্তব্য করুন