রংপুরের নির্বাচনী মাঠে বিএনপি এত একা কেন?
বৃহস্পতিবার রংপুর সিটি নির্বাচনের ভোট। মঙ্গলবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে ভোটের প্রচারণা। এতে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির তিন হেভিওয়েট প্রার্থীই নিজেদের সর্বোচ্চ শক্তির জানান দিয়েছেন। তবে অন্যদের তুলনায় বিএনপি প্রার্থীকে অনেকটাই ফিকে মনে হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, অন্য সব সিটি নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের একটি সমন্বয় কমিটি থাকে। কিন্তু রংপুরে এমনটা দেখা যায়নি। অনেকটা একলা চলো নীতিতেই ছিলেন বিএনপি প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা।
111
এর আগে নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের নির্বাচনী প্রচারণায় সমন্বয় কমিটি হলেও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তা চোখে পড়েনি। এর প্রভাব ভোটের ফলে পড়তে পারে বলে দাবি করেছেন বিশ্লেষকরা।
রংপুর ২০ দলীয় জোটের মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থান রয়েছে জামায়াতে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ন্যাপ ও জাগপা। বিএনপি তাদের অবস্থান কাজে লাগানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু বিএনপি সেটা এখন পর্যন্ত করছে না। এমনকি বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে তাদের আহ্বান জানানো হয়নি।
জোট নেতারা বলছেন, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণির বাড়ি রংপুরে। তার পিতা বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়া। সেই হিসেবে এলাকায় পারিবারিক একটা প্রভাবও রয়েছে জেবেল রহমান গাণির।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ন্যাপের স্থানীয় এক নেতা জানান, ছোট দল হলেও রংপুর বিভাগে বাংলাদেশ ন্যাপের অবস্থান একেবারে ফেলে দেয়ার নয়। বিএনপির কারণে আমরা প্রার্থী দেয়নি। কিন্তু এখন আমাদের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। কেন তাদের কাজে লাগানো হলো না, তা তিনি জানেন না বলেও মন্তব্য করেন এ নেতা।
বিএনপির প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা আরটিভি অনলাইনকে বলেন, সমন্বয় কমিটি না হলেও সমন্বয় হয়েছে। জোটের সবার সঙ্গেই আলোচনা হয়েছে। মিথ্যা মামলার কারণে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সব আত্মগোপনে বা জেলে রয়েছে। ফলে তারা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেননি। তবে জোটের শরিক হিসেবে জামায়াতের ভোটগুলো তিনিই পাওয়ার কথা বলে জানান বাবলা।
এসজে/এসএস
মন্তব্য করুন