ঘূর্ণিঝড় রেমাল
উপকূল ছাড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় জানমাল বাঁচাতে উপকূল ছাড়তে শুরু করেছেন বাসিন্দারা।
রোববার (২৬ মে) বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপকূলের নিজ বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিচ্ছেন তারা। জেলে পাড়ায় জেলেরা তাদের নৌকা ও মাছ ধরার জাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন।
জানা গেছে, শনিবার (২৫ মে) রাত থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে সন্দ্বীপের মানুষই বেশি।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মুহিবুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থেকে দুর্যোগকবলিত এলাকার মানুষকে বাঁচাতে আট থকে নয় হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত খাবার এবং চিকিৎসা সামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রেমাল মোকাবেলায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোষ্টগার্ড আমাদের সিভিল প্রশাসন প্রস্তত রয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের অগ্রভাগ উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে শুরু করেছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিসহ ঝোড়োহাওয়া বয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে জলোচ্ছ্বাসে পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন। পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রাঙ্গাবালী উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ আঘাত হানতে শুরু করলেও সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের তিন থেকে চার ঘণ্টায় তাণ্ডব চালিয়ে রিমালের কেন্দ্র স্থলভাগে ওঠে আসতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে কেন্দ্রেই থাকে প্রচণ্ড শক্তি।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সারাদেশেই ভারী বর্ষণ হতে পারে। এতে পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর নামকরণ করেছে ওমান। আরবিতে এর অর্থ বালি। এই নামে ফিলিস্তিনের গাজা থেকে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে একটি শহরও রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সুন্দরবনের কারণে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিল দেশের উপকূল। এর আগে ২০০৯ সালের মে মাসেই সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল প্রলয়ংকরী আইলা।
মন্তব্য করুন