• ঢাকা সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১
logo

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: কলাপাড়ায় প্রস্তুত ১৫৫ আশ্রয়কেন্দ্র ও ২০ মুজিব কেল্লা

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৫ মে ২০২৪, ২৩:৪৪
কলাপাড়ায় প্রস্তুত ১৫৫ আশ্রয়কেন্দ্র ও ২০ মুজিব কেল্লা
ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপান্তরিত হয়ে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শনিবার (২৫ মে) রাতে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এ কারণে পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ দিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, সিপিপির উপপরিচালক আছাদ উজ জামান, দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরসহ জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

সভায় দুর্যোগকালীন সময় ১৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র, ২০টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুতের পাশাপাশি শিশু খাদ্য ও শুকনো খাবার মজুত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ ছাড়া কুয়াকাটার বহুতল ভবনগুলো দুর্যোগের সময় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়।

দুর্যোগে করণীয় সম্পর্কে প্রচার ও মানুষকে সচেতন করতে ৩ হাজার ১৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখার তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।

এর আগে কলাপাড়া উপকূলীয় এলাকার সাধারণ জনগণ ও মৎস্যজীবীদের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করে নিজামপুর কোস্টগার্ড। শনিবার সকাল ৯টায় মৎস্য বন্দর আলীপুর- মহিপুরে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করে কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এ সময় তারা খাপড়াভাঙা নদীতে অবস্থানরত ট্রলারসমূহের জেলেদের ঘূর্ণিঝড়ের সময় করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

নিজামপুর কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার আবু রাশেদ সুমন বলেন, ‘আমরা সকাল থেকেই জনসচেনতামূলক কার্যক্রম করেছি। এ ছাড়া সাগরে আমাদের টিম কাজ শুরু করেছে। তবে মাছধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় তীরেই রয়েছে অধিকাংশ মাছধরার ট্রলার।’

উল্লেখ্য, পটুয়াখালী ৪ কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী আসনের সংসদ সদস্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান এমপি শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর পরিদর্শনে যান। এ সময় প্রতিমন্ত্রী অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত হন। তিনি বঙ্গোপসাগরে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। পরিদর্শন-কালে প্রতিমন্ত্রী পূর্বাভাস প্রযুক্তি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান। এ সময় দেশের দুর্যোগ পূর্বাভাস ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিমন্ত্রী সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা সংস্থার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি দুর্যোগ মোকাবেলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
১৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
চলতি মাসে বন্যার শঙ্কা
২০ জেলায় প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
আপনার ঘুস খাওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন করিনি, প্রকৌশলীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা