মিয়ানমারের সমঝোতা নিয়ে সন্দিহান রোহিঙ্গারা
ফেরত নেয়া নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা করলেও মিয়ানমারের প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা।
বাংলাদেশের প্রতি তাদের অনুরোধ নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই যেন তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
স্মরণকালের ভয়াবহ হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে এবার বাংলাদেশে এসেছে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। রাখাইনে নিপীড়ন অব্যাহত থাকায় এখনো আসছে অনেকে। নির্যাতনের বিভীষিকা তাড়িয়ে বেড়ায় ঘরবাড়ি-দেশহারা এ মানুষদের।
নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে সম্প্রতি সমঝোতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।
বাংলাদেশের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও, মিয়ানমারের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান রোহিঙ্গারা। তাই যেকোনো ধরনের সমঝোতায় নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানান তারা।
এদিকে এমন সমঝোতাকে স্বাগত জানিয়ে সরকারকে আরো সতর্ক ও কৌশলী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটি।
তবে আশ্রিত রোহিঙ্গা এবং স্থানীয়দের প্রত্যাশা বাংলাদেশ এবং রোহিঙ্গাদের পক্ষে যায় এমন পদক্ষেপ নেবে সরকার।
গত ২৩ নভেম্বর রাখাইনে সহিংসতার মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
এর আগে ১৯৭৮ সালে দুই দেশ চুক্তি করেছিল। সেই চুক্তির অধীনে দুই লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা ছয় মাসের মধ্যে ফেরত যায়। পরে ১৯৯২ সালে দুই দেশের মধ্যে আরেকটি সমঝোতা হয়। যার অধীনে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দুই লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত যায়।
আরকে/জেবি
মন্তব্য করুন