• ঢাকা রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ২ আষাঢ় ১৪৩১
logo

প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই, অভিযোগ অস্বীকার চিকিৎসকের

নওগাঁ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২২ মে ২০২৪, ১৯:৪০
ছবি : আরটিভি

নওগাঁয় এক প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক তানিয়া রহমান।

বুধবার (২২ মে) দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. তানিয়া রহমান বলেন, গত সোমবার তাকে অভিযুক্ত করে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশিত হয়, যা তার দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি দাবি করেন রোগীর পরিবার সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৫ মে সকাল ৮টার দিকে নওগাঁ শহরের একতা ক্লিনিক থেকে একটি জরুরি সিজারিয়ান সেকশন জন্য তাকে কল করে ডাকা হয়। সেই রোগীর নাম সুমি খাতুন। তিনি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বান্দাইখাড়া গ্রামের উজ্জ্বল হোসেনের স্ত্রী। রোগীর প্রয়োজনীয় রুটিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক দেখার পর তিনি সফলভাবে সিজারিয়ান সেকশন সম্পন্ন করেন।

পরবর্তীতে ওই দিন বিকেল ৪টার দিকে তিনি রোগীকে দেখার জন্য ক্লিনিকে যান এবং রোগীর সব ভাইটাল প্যারামিটার স্বাভাবিক পান। এর দুই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে কল করে একতা ক্লিনিক থেকে সুমি খাতুনের কিছু সমস্যা সম্পর্কে জানানো হয়। কল পেয়ে ক্লিনিকে গিয়ে দেখেন, রোগীর পেটের সেলাইয়ের স্থান থেকে হালকা রক্ত চুঁইয়ে বের হচ্ছে।

এ সময় তিনি লোকাল এনেস্থেসিয়া প্রয়োগ করে রোগীর পূর্বের দুইটি সেলাই কেটে একই জায়গায় নতুন করে সেলাই দেন। রক্তপাত সংক্রান্ত অন্য কোনো জটিলতা বা ব্যাধি আছে কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে তিনি রোগীকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বলেন। কিন্তু রোগীর স্বামী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে অসম্মতি জানান এবং রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য ইচ্ছা পোষন করেন। রোগীর অভিভাবকের ইচ্ছা অনুযায়ী ওই দিন রাতেই প্রসূতি সুমি খাতুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. তানিয়া বলেন, ১৫ মে সুমির অস্ত্রোপচারের সময় অপারেশন থিয়েটারে তার সঙ্গে একতা ক্লিনিকের মার্কেটিং অফিসার আব্দুর রউফ ও অন্যান্য নার্সরা ছিলেন। এ সময় সুতা কাটার সময় আব্দুর রউফ তাকে সহযোগিতা করেন বলে তিনি স্বীকার করেন।

তানিয়া রহমান জানান, রামেক হাসপাতালের গাইনী এন্ড অবস বিভাগের চিকিৎসক কলি রাণীর নেতৃত্বে সুমির ল্যাপরেটমি করা হয়। এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ডা. কলি রাণী বলেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোনো রোগীর চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচার একজন চিকিৎসক করেন না। মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে সব সময় টিম ওয়ার্ক হয়ে থাকে। সুমি খাতুন নামের ওই রোগীর চিকিৎসাও টিম ওয়ার্কের মাধ্যমেই হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে আমি এ মূহূর্তে ফোনে কোনো মন্তব্য করতে চাইনি। এ বিষয়ে জানতে বিভাগের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

প্রসূতি সুমি খাতুনের চিকিৎসার ব্যাপারে জানতে রামেক হাসপাতালের গাইনি এন্ড অবস বিভাগের প্রধান ডা. রোকেয়ার মুঠোফোনে কল দিয়ে রিসিভ না হওয়ায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে সুমী খাতুনের স্বামী উজ্জ্বল হোসেনের ব্যক্তিগত মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার স্ত্রী এখনও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি আছেন। নওগাঁয় একতা ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকের অবহেলার কারণে তার স্ত্রীর পেটে গজ রেখে সেলাই দেওয়া হয়। যার কারণে তার স্ত্রীর বর্তমানে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অবদান রেখেছে আ.লীগ: খাদ্যমন্ত্রী
কিশোরগঞ্জে বিদ্যালয়ের নামে অপপ্রচার, প্রতিবাদে শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন
নওগাঁয় নাজিম উদ্দিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২ আসামি গ্রেপ্তার
রুপার চেইনের জন্য শিশুকে বলাৎকারের পর হত্যা