• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo

জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘কুইক রেসপন্স টিম’ গঠনের প্রস্তাব মেয়রের

স্টাফ রিপোর্টার (চট্টগ্রাম), আরটিভি নিউজ

  ১৪ মে ২০২৪, ০৯:৪৩
জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘কুইক রেসপন্স টিম’ গঠনের প্রস্তাব মেয়রের
ছবি : সংগৃহীত

বন্দর নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ও সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ‘কুইক রেসপন্স টিম’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। এতে সম্মত হয়েছেন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছও।

সোমবার (১৩ মে) নগরীর টাইগারপাসে অস্থায়ী নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা সভায় এ প্রস্তাব দেন তিনি।

মেয়র রেজাউল বলেন, ‘এবারও বর্ষায় পানি উঠবে। কিন্তু পানি যাতে বেশিক্ষণ না থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)। আরও দুই মাস সময় আছে বর্ষা আসার। জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন, সিডিএ, জলাবদ্ধতার মেগা প্রকল্পের পূর্ত কাজ পরিচালনাকারী সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিয়ে একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে। যারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করবে। যাতে কেউ কারো দিকে তাকিয়ে না থাকে। পানি উঠবেই কিন্তু পানি দ্রুত নেমে যেতে হবে। এখন দুবাই শহরেও পানি উঠে। নিউইয়র্কেও পানি উঠে। কিন্তু দ্রুত যেন নেমে যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে।’

মেয়র রেজাউল বলেন, ‘খাল থেকে শুধু কিছু মাটি তুললে হবে না। খালের মাটি স্পেসিফিকেশন অনুসারে উত্তোলন করতে হবে। ময়লা পরিষ্কার করে যদি খাল গভীর করতে পারি তাহলে মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মানুষ মুক্তি পাবে। পাহাড় কাটা মাটি যেখান দিয়ে খালে নামে সেখানে সিল্টট্র্যাপ (বালির ফাঁদ) দিতে হবে। মূল খালের মাটি অপসারণ ও উপ-খালের মুখ মুক্ত করতে হবে। নালা আমরা পরিষ্কার করব।’

এ সময় সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ‘ইতোমধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে নালাগুলোতে থাকা ওয়াসার পাইপসহ বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করতে সিডিএ’র প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছি। চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা না শুধু জলোচ্ছাস হত। অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় জোয়ারের পানি ঢুকে এটা হত। এখন অনেক স্লুইস গেট করা হয়েছে। কিন্তু পাম্প করার সময় যদি পলিথিন বা আবর্জনা চলে আসে তাহলে পানি কীভাবে নামবে? সিটি করপোরেশনের কাজ বলে আমরা বসে থাকবো না। একসঙ্গে কাজ করব। কিছু খাল থেকে তোলা মাটি রয়ে গেছে, সরিয়ে নেব। এবার যাতে পানি না উঠে সে চেষ্টা করব অবশ্যই।’

সভায় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ, চসিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি লতিফুল হক কাজমি, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল তাদের বক্তব্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্থাগুলোর মধ্যে কর্মবণ্টন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিকল্পিত নগরায়ণের ওপর জোর দেন।

এতে বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্পের পরিচালক ফরহাদুল আলম প্রকল্পের অগ্রগতি এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিকের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলরবৃন্দসহ নগরীর বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন। বিভিন্ন সংস্থা জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি এবং করণীয় সম্পর্কে মতামত তুলে ধরে।

মন্তব্য করুন

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পঞ্চগড়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
শ্রীপুরে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে পৌরবাসী
তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে ডুবল সিলেট নগর
রেমাল চলে গেলেও পানিবন্দি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক