জিপিএ-৫ না পাওয়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রাফসান জানি এমিল (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১২ মে) দুপুরে উপজেলার বাঙালিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাফসান একই এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে।
পুলিশ ও পরিবার জানায়, এ বছর স্থানীয় লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় রাফসাস। পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার আশা করেছিল সে। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে জিপিএ ৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট আসায় কান্নাকাটি করতে থাকে। একপর্যায়ে সে ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, এ ঘটনায় আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
নারী ফুটবলারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় মৌ রানী দাস (১৭) নামে এক নারী ফুটবলারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ভাঙ্গাডহর গ্রামের নিজ ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মৌয়ের মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট মৌ। সে স্থানীয় নারী ফুটবল দলের নিয়মিত খেলোয়াড়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বসতঘরে থাকা ধানের উগারের (কাড়ি) ভেতরে মৌ দাসের গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় স্বজনরা। পরে থানা-পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
আরটিভি/একে/এসএ
গ্রামীণ ব্যাংক কর্মকর্তাকে ‘স্যার’ না ডাকায় তুলকালাম, শেষমেশ যা হলো
গ্রামীণ ব্যাংকের মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ঝিটকা শাখার ব্যবস্থাপককে ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় গ্রাহকের সঙ্গে সেকেন্ড ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদের অসদাচরণের অভিযোগটি ‘সমাধান’ করার দাবি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ঝিটকা বাজারের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমর সন্ন্যাসীর ছেলে সুব্রত সন্ন্যাসী বুধবার ওই শাখায় যান। এরপর ওই শাখার ব্যবস্থাপককে ‘ভাই’ সম্বোধন করা নিয়ে সেকেন্ড ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়।
তবে যাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত সেই শাখা ব্যবস্থাপক অদ্বৈত কুমার মৃধা বলছেন, গ্রাহকের সঙ্গে ঘটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়টি গ্রামীণ ব্যাংকের দুজন বিভাগীয় প্রধান, জোনাল প্রধান ও এরিয়া প্রধানকে নিয়ে গ্রাহকের সঙ্গে বসে সমাধান হয়ে গেছে। এ ঘটনার জন্য সেকেন্ড ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, ওই দিন গ্রাহক সুব্রতের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যাংকের ওই শাখায় আলাপচারিতার একপর্যায়ে সুব্রত সেকেন্ড ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদকে বলছেন, ‘সম্মান দিয়ে ভাই বলা কি অপরাধ? আপনাদের ভাই বলা যাবে না? স্যারই বলতে হবে?
উত্তরে আবুল কালাম বলছেন, ‘ভাই বলা যাবে না, স্যার বলবেন। আপনি ভদ্রতা দেখান। গ্রামীণ ব্যাংকের সবাইকে স্যার বলতে হবে।
সুব্রত কারণ জানতে চাইলে আবুল কালাম বলেন, ‘এটাই নিয়ম; এটা সবাই বলে।’ এরপর সুব্রত পাল্টা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আপনি এত তর্ক করেন কেন? আপনার কোনো সম্পর্কের ভাই উনি (ব্যবস্থাপক)?’ এ পর্যায়ে গ্রাহক সুব্রত সন্ন্যাসীর দিকে আঙুল তুলে ‘কথাবার্তা সাবধানে বলার হুমকি দেন’ আবুল কালাম।
সুব্রত আঙুল নামাতে বললে আবুল কালাম তার প্রতি মারমুখী হয়ে ব্যাংক থেকে বের করে দেন ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
নিখোঁজ মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে, গলায় ছিল রশি পেঁচানো
নিখোঁজের সাত দিন পর সিলেটের কানাইঘাটে নিখোঁজ শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় বাড়ির পাশের পুকুরে তার মরদেহ পাওয়া গেছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে মুনতাহার নিজ বাড়ির পুকুরে তার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। মুনতাহা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।
কানাইঘাট থানার ওসি মো. আব্দুল আওয়াল জানান, শিশুটির মরদেহ দেখে মনে হচ্ছে তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির গলায় রশি পেঁচানো ছিল। শরীরে ক্ষতচিহ্নও আছে।
মুনতাহার বাবা দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন।
এর আগে, রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে মুনতাহাকে নিয়ে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন তার বাবা। পরে শিশুটি প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। বিকেল ৩টার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবার থেকে মুনতাহাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।
আরটিভি/এফআই/এআর
মুনতাহাকে হত্যার পর পুঁতে রাখা হয় কাদামাটিতে, আটক ৩
সিলেটের কানাইঘাটে নিখোঁজ হওয়া শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনকে (৬) হত্যার পর পুঁতে রাখা হয় কাদামাটিতে। পুঁতে রাখা মরদেহটি খাল থেকে সরিয়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলার চেষ্টার সময় মা-মেয়েসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১০ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে মরদেহটি সরানোর চেষ্টাকালে জনতার সহায়তায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, মর্জিয়া আক্তার, তার মা আলীফজান ও আলীফজানের মা কুতুবজান। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা মর্জিয়ার বসতঘর গুড়িয়ে দেন।
নিহত মুনতাহা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, ঘটনার দিন রোববার (৩ নভেম্বর) আমার বাড়িতে খেলা করছিল মুনতাহা। ওইদিন শিশুটিকে ধরে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ ঘরের পাশে খালে পুঁতে রাখা হবে তা কল্পনা করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্বাস ছিল শিশুটিকে জীবিত পাবো। কিন্তু ঘরের পাশে তার মরদেহ মিলবে, তাকে হত্যা করা হবে কল্পনা করিনি। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল জানান, মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিবেশী মর্জিয়া আক্তার ও তার মা আলীফজান মিলে তাকে হত্যা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মুনতাহাকে অপহরণের পর ওইদিনই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ঘরের পাশের একটি খালে কাদামাটিতে পুঁতে রাখা হয়।এরপর আলীফজান বেগম রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে মরদেহ সরানোর চেষ্টাকালে স্থানীয়রা দেখে ফেলেন। এ সময় স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় মর্জিয়া, তার মা ও নানিকে আটক করা হয়। এর মধ্যে আলীফজান ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
ওসি বলেন, শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে মর্জিয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা যায়নি। এরপর রোববার ভোরে মরদেহ উদ্ধারের পর তাকে আটক দেখানো হয়।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ খাল থেকে সরিয়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
আরটিভি/এফআই/এআর
মুনতাহার মরদেহ উদ্ধারের পর বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
নিখোঁজের ৭ দিন পর মিলেছে সিলেটের কানাইঘাটের ৬ বছরের শিশু মুনতাহার মরদেহ। শিশুটির সাবেক গৃহশিক্ষিকা, শিক্ষিকার মা ও নানি তিনজন মিলে তাকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে ফেলে।
রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে মুনতাহার পুঁতে ফেলা মরদেহ তুলে পুকুরের পানিতে ফেলার সময় স্থানীয়রা গৃহশিক্ষিকার মা আলিফজান বিবিকে হাতেনাতে আটক করেন। শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা ও তার নানি কুতুবজান বিবিকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতে গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়াকে সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয় পুলিশ। মার্জিয়ার আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তার বাড়িতে মুনতাহার সন্ধান করেন স্থানীয়রা। রাত সাড়ে ৩টার দিকে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে অন্ধকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখেন স্থানীয়রা। এ সময় হাতে কী জানতে চাইলে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। স্থানীয়রা তাকে আটক করার পর তার কোলে কাদামাটি মাখা মুনতাহার মরদেহ দেখতে পান। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আহমদ বলেন, মুনতাহার নিখোঁজের পর রোববার স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে মার্জিয়ার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরে রাতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ মুনতাহার স্বজনদের বলেন মার্জিয়ার বাড়ির আশপাশে মাটি খোঁড়া আছে কি না খোঁজ নিতে। স্থানীয়রা রোববার রাতভর তার বাড়ির আশেপাশে কোথাও মাটিখোঁড়া কোনো জায়গা আছে কি না খুঁজতে থাকেন। ফজরের আজানের আগ মুহূর্তে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে হঠাৎ অন্ধাকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখে আটকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্ঠা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। পরে কাদামাটি মাখা মুনতাহার মরদেহ দেখতে পান।
আটক আলিফজান বিবির বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন জানান, তারা মুনতাহার মরদেহ প্রথমে মাটিতে পুঁতে ফেলেছিলেন। রাতে সেখান থেকে মরদেহ তুলে মুনতাহার চাচার বাড়ির পুকুরে ফেলতে চেয়েছিলেন।
তিনি আরও জানান, মার্জিয়া মুনতাহার প্রতিবেশি ও তার গৃহশিক্ষক। একসময় ভিক্ষা করতেন মার্জিয়ার মা ও নানী। মার্জিয়াকে তার স্বামী ছেড়ে চলে গেছেন। ফলে বাড়ির বাইরে গেলে মুনতাহাকে সঙ্গে নিতেন মার্জিয়া। সবাই তাকে বিশ্বাসও করতেন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি। সম্প্রতি মার্জিয়ার পরিবারের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল।
এর আগে, রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে মুনতাহাকে নিয়ে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন তার বাবা। পরে শিশুটি প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। বিকেল ৩টার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবার থেকে মুনতাহাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।
আরটিভি/এসএপি/এআর
বন্ধুকে এয়ারপোর্টে বিদায় দিয়ে ঘরে ফেরা হলো না তিন বন্ধুর
ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈরের সুত্রাপুরে প্রাইভেট কার ও বাসের সংঘর্ষে তিন বন্ধু মারা গেছেন। রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় নিহতের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে, শনিবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় কালিয়াকৈরের সুত্রাপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন, মুসলেম উদ্দিন, নাসির উদ্দিন ও জুয়েল মিয়া।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার আন্ধির এলাকার মো. মামুন কুয়েত যাওয়ার জন্য সন্ধ্যায় একটি প্রাইভেটকারে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় তার সঙ্গে স্থানীয় মসজিদের ইমামসহ তিন বন্ধু ছিলেন। মামুনকে এয়ারপোর্টে নামিয়ে দিয়ে সখিপুরের উদ্দেশে ফেরার পথে রাত সাড়ে তিনটার দিকে কালিয়াকৈরের সুত্রাপুরে দুর্ঘটনায় পড়েন। প্রাইভেটকারটি মহাসড়কে উঠতে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা আল বারাকা পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান মুসলেম উদ্দিন, নাসির উদ্দিন ও জুয়েল মিয়া। গুরুতর আহত আজিজুল হককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর স্থানীয়রা ঘাতক বাসটি আটক করতে পারলেও গাড়ির চালক ও সহকারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে নাওজোর হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসেন। স্বজনরা আসলে তাদের আবদনের প্রেক্ষিতে সকাল ৯টায় বিনা ময়নাতদন্তে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানায় পুলিশ।
আরটিভি/এফআই/এআর
অবশেষে জানা গেল শিশু মুনতাহা হত্যার কারণ
শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি ও চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে সিলেটের কানাইঘাটের ৬ বছরের শিশু মুনতাহাকে হত্যা করেছে তার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া।
রোববার (১০ নভেম্বর) নিখোঁজের ৭ দিন পর শিশু মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, গত ৩ নভেম্বর সকালে মুনতাহাকে নিয়ে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন তার বাবা। পরে শিশুটি প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। বিকেল ৩টার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবার থেকে মুনতাহাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি। ঘটনার দিনই মুনতাহাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ির পাশের ডোবায় পুতে রাখেন খুনিরা। সন্দেহ থেকে শনিবার স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে গৃহশিক্ষক মার্জিয়ার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়।
পরে রাতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ মুনতাহার স্বজনদের বলেন মার্জিয়ার বাড়ির আশপাশে মাটি খোঁড়া আছে কি না খোঁজ নিতে। স্থানীয়রা রোববার রাতভর তার বাড়ির আশেপাশে কোথাও মাটিখোঁড়া কোনো জায়গা আছে কি না খুঁজতে থাকেন। ফজরের আজানের আগ মুহূর্তে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে হঠাৎ অন্ধাকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখে আটকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্ঠা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। পরে কাদামাটি মাখা মুনতাহার মরদেহ দেখতে পান। এরপর শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, শিক্ষিকার মা ও তার নানি কুতুবজান বিবিকে আটক করে পুলিশ।
মারজিয়ার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো রফিকুল ইসলাম জানান, গত ৩ নভেম্বর রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ডোবায় ফেলে রাখা হয়। মারজিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ ও তার ওপর চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তবে এ ঘটনায় আর কোনো কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, মুনতাহা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- নিজাম উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন ও নাজমা বেগম। হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা উদঘাটন করতে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরটিভি/এসএপি/এআর