ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঝলসে গেছে ৬০ একর বোরো ধানখেত

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে তিন ইট ভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া আর গরম বাতাসে প্রায় ৬০ একর বোরো ধানখেত ঝলসে গেছে। এতে চরম বিপদে পড়েছেন প্রায় অর্ধশত ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষক।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কৃষি বিভাগ।

পীরগঞ্জ পৌর শহরের গুয়াগাঁও গ্রামের ফসলি জমির আশেপাশের ঢাকাইয়া শাহজাহান, বেলাল ও আকবর আলী নামে তিন ব্যক্তি তিনটি ভাটা গড়ে তুলেছেন। তাদের ভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া আর গরম বাতাসে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি ফসল ও বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। গত কয়েক দিনে ভাটার কালো ধোঁয়া আর গরম বাতাসে প্রায় ৬০ একর বোরো ধানখেত ঝলসে গেছে। এর প্রতিকার পেতে বুধবার (৮ মে) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। ফসল হারানোর শঙ্কায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা।

কৃষক অহিদুল, শাহজাহান ও বাদলসহ অনেকে জানান, ধারদেনা করে তারা বোরো ধানখেত আবাদ করেছিলেন। এখন ধানের শীষ বের হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ঠিক এই সময়ে ভাটার কালো ধোঁয়া আর গরম বাতাসে তাদের ধানের পাতা ঝলসে হলুদ হয়ে গেছে। আর যেসব ধানের শীষ বের হয়েছে তার সবটাই চিটা হয়ে গেছে। শীষে কোনো ধান নেই। এ অবস্থায় চরম দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন পৌর কাউন্সিলর আবদুস সামাদ। তিনি বলেন, অনেকে ধারদেনা করে বোরো ধান আবাদ করেছেন। অবৈধ ইটভাটার কারণে তাদের ফসল নষ্ট হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে দুপুরে কৃষি বিভাগ মাঠ পরিদর্শন করে বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বলে জানালেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন রায়। তিনি বলেন, তাপের কারণে ফসলের এমন অবস্থা হয়েছে। তবে কীি পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তা তারা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

এ বিষয়ে ইট ভাটা মালিকরা কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

এদিকে ফসলি জমির ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আরও ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষি অর্থনীতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক। তাই এসব ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার কৃষক।