‘হাইকোর্টের নারী ম্যাজিস্ট্রেট’ পরিচয়ে প্রতারণা, অতঃপর...
রাজবাড়ী থেকে হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে মুক্তা পারভিন (৩৪) নামে এক নারী প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ী জেলা শহরের অনুপম মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুক্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে এক কোটি বিশ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত মুক্তা পারভিন নওগাঁ জেলার ধামইরহাট থানার লোদীপুর গ্রামের মো. মোজাহারুল ইসলামের মেয়ে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানায় র্যাব-১০।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজশাহীর বোয়ালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র নিজেদেরকে কখনও হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট কখনও ডিজিএফআই এর মেজর ইত্যাদি পরিচয় দিয়ে সহজ সরল ও নিরীহ লোকজনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। চক্রটি রাজশাহী জেলার চন্দ্রিমা থানাধীন ছোটবনগ্রাম এলাকার শেখ আব্দুল্লাহকে (৩৭) বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরি পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সর্বমোট ১ কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
র্যাব আরও জানায়, একপর্যায়ে ভিকটিম শেখ আব্দুল্লাহ বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন। পরবর্তীতে ভিকটিম বাদী হয়ে রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূলহোতা মুক্তা পারভিনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের বিষয়টি জানতে পেরে চক্রটির সকল আসামি আত্মগোপনে চলে যান।
ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল প্রতারক চক্রটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ এপ্রিল র্যাব-১০ এর আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজবাড়ী জেলার সদর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়দানকারী প্রতারক চক্রের অন্যতম মূলহোতা পলাতক আসামি মুক্তা পারভিনকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মুক্তা নিজেকে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূলহোতা বলে স্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে মুক্তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন