পাবনায় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের তিনদিনব্যাপী আবির্ভাব মহোৎসব
বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পাবনার হিমায়েতপুরে শুরু হয়েছে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৬ তম আবির্ভাব দিবস ও পুণ্য দোল-পূর্ণিমা মহোৎসব। গত রোববার থেকে শুরু হওয়া এ মহোৎসব উপলক্ষে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে হাজার নারী পুরুষ ভক্তরা এসেছেন ঠাকুরের আশীর্বাদ নিতে।
প্রতি বছর এইদিনে ২৪, ২৫ ও ২৬ মার্চ তারিখে ঠাকুরের জন্মতিথিতে এই মহোৎসব পালন করা হয়। মহা উৎসব উপলক্ষে পাবনার হিমাইতপুর শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম প্রাঙ্গনে চলছে নানা আচার ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান।দেশের বিভন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার এবং দেশের বাইরে থেকেও ভক্তবৃন্দের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠেছে সৎসঙ্গ আশ্রম প্রাঙ্গন।
তিনদিনের মহোৎসবের ১ম দিনের অনুষ্ঠান সূচিতে ছিলো ঊষালগ্নে মাঙ্গলিকী, সমবেত প্রার্থনা, কর্মী বৈঠক, ভক্তি সঙ্গীত, দুপুরে আনন্দবাজারে মহাপ্রসাদ বিতরণ, বিকেলে যুবসম্মেলন, রামায়ন গান, সন্ধ্যায় সন্ধ্যা প্রার্থণা ও আলোচনা সভা এবং রাতে লোকরঞ্জন অনুষ্ঠান। ২য় দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঊষালগ্নে মাঙ্গলিকী, সমবেত প্রার্থনা, সদ্গ্রন্থাদি পাঠ, ভক্তি সংগীত, শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলাকীর্তন, শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ৫৩৯তম আবির্ভাব দিবসের পুণ্যলগ্নের স্মৃতিচারণ, শ্রী শ্রী ঠাকুরের জন্মস্থান প্রদক্ষিণ, কিশোরমেলা, দুপুরে আনন্দবাজারে প্রসাদ বিতরণ, মাতৃ সম্মেলন, সন্ধ্যায় সমবেত প্রার্থণা ও প্রার্থনান্তে ধর্মসভা, রাতে লোকরঞ্জন অনুষ্ঠান। মহোৎসবের ৩য় ও শেষদিন মঙ্গলবার ছিল ঊষালগ্নে মাঙ্গলিকী, তারকব্রক্ষ্ম নাম, সমবেত প্রার্থনা, সদ্গ্রন্থাদি পাঠ, ভক্তি সংকীর্তন, দুপুরে আনন্দবাজারে প্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যায় সন্ধ্যা প্রার্থণা ও প্রার্থনান্তে ধর্মসভা, রাতে লোকরঞ্জন অনুষ্ঠান।
উৎসবে যোগ দেনভারত থেকে আগত শ্রী প্রলয় মজুমদার ভাগ্নি বাগ্মী প্রবর বক্তা (প্র:ঋ:), পাবনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপষ বর্মন, সৌমিত্র মজুমদার পলাশ, হিরন্ময় ঘোষ, চন্দন্ময় নন্দী, সুদেব ঘোষ, মানিক দাস (স:প্র:ঋ:) সমাপ্ত সাহা, ভবি সাহাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন