সিরাজগঞ্জে স্ত্রীসহ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জে এক ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (৩ মার্চ) দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ফেরদৌস রায়হান বকসী মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযুক্ত সেলিম রেজা (৪৫) চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা। তিনি জেলার বেলকুচি উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের চর জোকনালা গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে তিনি সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মাছুমপুর মহল্লার বাসিন্দা।
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় সূত্রে ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে সেলিম রেজার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সেলিম রেজা তার সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর সম্পদ ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ৫৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৪ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপন করেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া তিনি ৪৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৫০ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অপরদিকে তার স্ত্রী আফরোজা বেগম (৪২) তার সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর সম্পদ ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ৩৫ লাখ ১১ হাজার ৫৫৫ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপন ও ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৫৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন। এ পরিস্থিতিতে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ফেরদৌস রায়হান বকসী বাদী হয়ে ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সেলিম রেজা ও তার স্ত্রী আফরোজা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী ফেরদৌস রায়হান বকসী বলেন, সেলিম রেজা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, আমার যা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে, তা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ আছে। এগুলো দুদক অফিসে জমা দিয়েছিলাম। তবে আমার ও আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কিনা তা জানা নেই।
মন্তব্য করুন