লাইভ টিভি
আরটিভি প্লাস
ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায় ৫ জনের কারাদণ্ড
ফেনী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ
ফেনীতে ডাকাতি প্রস্তুতির মামলায় পাঁচ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ফেনীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আতাউল হক এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার সোনাগাজী উপজেলা চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরসাহাভিকারী এলাকার নুর আলমের ছেলে মিজানুর রহমান প্রকাশ শেখ ফরিদ (৩৩), আবু তাহেরের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৩৫), আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুস শুক্কুর (৩০), মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল আবেদীন হেলাল (৫০), লিয়াকত আলীর ছেলে রফিক (৩৪)।
এর মধ্যে ফরিদকে দণ্ডবিধির ৩৯৯ ধারায় ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দণ্ডবিধি ৪০২ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড। জসিমকে দণ্ডবিধির ৩৯৯ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দণ্ডবিধি ৪০২ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড। শুক্কুরকে দণ্ডবিধির ৩৯৯ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দণ্ডবিধি ৪০২ ধারায় ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড।
হেলালকে দণ্ডবিধির ৩৯৯ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দণ্ডবিধি ৪০২ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড। রফিককে দণ্ডবিধির ৩৯৯ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দণ্ডবিধি ৪০২ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার সোহাগ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১০জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে এজাহারভুক্ত ১১ জনসহ মোট ১৪ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের পর ওই বছরের ৮ জুলাই জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুন্নেছার আদালতে নিজেসহ সাজাপ্রাপ্ত বাকি ৪ আসামিও এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন ফরিদ। পরবর্তীতে ১৬ মাস হাজতবাস শেষে জামিনে পালিয়ে যান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৭ জুলাই দিবাগত গভীর রাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জেলার সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরসাহবিখারী এলাকার সাহাব উদ্দিনের চা দোকান সংলগ্ন কালভার্টের ওপর থেকে স্থানীয় মিজানুর রহমান প্রকাশ শেখ ফরিদ (৩৩) আটক করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন ৮ জুলাই সকালে ১১ জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানার তৎকালীন এসআই সাইফুল ইসলাম বাদী হয় একটি মামলা দায়ের করেন। এর কয়েকমাস পর তদন্ত কর্মকর্তা ও এসআই মো. শাহ আলম মিয়া আরও ৩ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ২০১৭ সালের নভেম্বরে মামলাটির অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দীন বাহার, সিরাজুল ইসলাম মিন্টু, কামরুল ইসলাম রাসেল ও হুমায়ুন কামাল।
মন্তব্য করুন
মাকে মারধর, ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে বাবার আত্মসমর্পণ
কুষ্টিয়ায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
মেঘনায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চ বিকল
ঈদের দিন বাংলা মদ খেয়ে তিন বন্ধুর মৃত্যু
মুক্তিপণ নিয়ে ফেরার পথে ৮ জলদস্যু গ্রেপ্তার
স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে স্ত্রীর আত্মহত্যা
যে কারণে জেল থেকে বের হয়েই স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী
