মহাদেবপুরে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা
নওগাঁর মহাদেবপুরে পারিবারিক দ্বন্দ্বে স্বামী-স্ত্রী গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর আগে রাত ৯ টার দিকে তারা গ্যাস ট্যাবলেট খান।
নিহতরা হলেন জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বরাইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সুমন (৪০) ও তার স্ত্রী গোলাপি (৩০)।
নিহতের পরিবার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুমন পেশায় একজন দিনমজুর। সুমনের বড় স্ত্রী খাদিজাকে না জানিয়ে গোপনে গত এক সপ্তাহ আগে গোলাপিকে বিয়ে করে। গত মঙ্গলবার খাদিজা তার বাবার বাড়ি গেলে এ সুযোগে ছোট বউ গোলাপিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন সুমন। বুধবার বিকেলে খাদিজা বাড়ি আসার পর থেকেই ঝগড়া চলছিল। রাতেই তারা এক সঙ্গে খাবারও খাই। পারিবারিক দ্বন্দ্বে রাত ৯টার দিকে সুমন ও গোলাপি গ্যাস ট্যাবলেট খেলে জানতে পারেন। পরে তাদের উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২টার দিকে গোলাপি ও রাত ২ টার দিকে সুমন মারা যায়।
সুমনের প্রতিবেশী চাচী গৃহবধূ চাম্পা বলেন, সুমনের আগের সংসারে দুই সন্তান ও স্ত্রী আছে। দিনজমুর হওয়ার পরও গোপনে আরেকটি বিয়ে করে মঙ্গলবার বাড়ি নিয়ে আসে। এ সময় বড় বউ তার বাবার বাড়ি ছিল। সংবাদ পেয়ে বড় বউ খাদিজা মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি আসে। এরপর থেকে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। রাতেও তারা সবাই এক সঙ্গে খাবার খেয়ে ছোট বউকে নিয়ে শুয়ে পড়ে। সুমন বড় বউয়ের কাছে যেতে চাইলেও দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। রাত ৯টার দিকে তারা দুজনে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে। বিষয়টি জানার পর তাদের উদ্বার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আবু আনসারি বলেন, হাসপাতালের নিয়ে আসার পর থেকেই তাদের দুজনের অবস্থা খুবই গুরুত্বর ছিল। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রেফার্ড করার প্রক্রিয়া করা হলেও রোগীর স্বজনরা অনত্র নিতে চাইনি। তারপরও তাদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোলাপি ও পরে সুমন মারা যায়।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্তের পর আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন