• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখে পালিয়ে গেলেন চিকিৎসক দম্পতি

স্টাফ রিপোর্টার (চাঁদপুর), আরটিভি নিউজ

  ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২৬
ছবি : আরটিভি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ৫ বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ একটি ডেন্টাল কেয়ারে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে হাজীগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান দেখে চেম্বার ও রোগী রেখে পালিয়েছে চিকিৎসক দম্পতি।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় ৪ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পৃথকভাবে নগদ মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং একটি ডেন্টাল কেয়ার সিলগালা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান মানিক দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে চেম্বারটি সিলগালার নির্দেশনা দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান মানিক জানান, নিবন্ধন না থাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, মেডিসিন কিটের নিম্নমান, প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেবিকা (নার্স) না থাকা, মেডিসিনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিক না থাকা, রেজিস্ট্রার ও সেবার মূল্য মান সঠিকভাবে না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ৫টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে ৪টি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হল, হাজীগঞ্জ বাজারস্থ পপুলার ল্যাব এন্ড জেনারেল হাসপাতালে ৫০ হাজার, ভিআইপি হসপিটালে ৪০ হাজার, আল রাজি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৫০ হাজার, নিশাত হাসাপাতালে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অপর দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে ডেন্টাল কেয়ার নামক একটি দন্ত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে রোগী ও স্বজন, মেডিকেল প্রমোশন অফিসারদের বসিয়ে রেখে চেম্বার থেকে পালিয়ে যান চিকিৎসক দম্পতি। তারা হলেন ডা. মো. বিল্লাল হোসেন ও ডা. পেয়ারা বিল্লাল। তারা চিকিৎসক না হয়েও নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার এবং প্যাড ব্যবহার করে দীর্ঘদিন দাঁতের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।

পরে পদধারী ডা. মো. বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি অসংলগ্ন কথা বলেন এবং চেম্বারে আসছেন বলে আসেন নি। পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান মানিক দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে চেম্বারটি সিলগালার নির্দেশনা দেন। এদিকে ডেন্টাল কেয়ারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান দেখে হাজীগঞ্জ বাজারের অন্যান্য দন্ত চিকিৎসার প্রতিষ্ঠানগুলোর সাটারে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মাওলা নঈম, জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্ম ও যৌন) ডা. মো. আবু সাঈদ মোস্তফা, উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মো. শামছুল ইসলাম রমিজ, মো. জসিম উদ্দিন ও হাজীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মো. আসাদুল কবিরসহ সঙ্গীয় ফোর্স ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘বিয়ে না করানোয় মাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে’
চাঁদপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায় 
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যা করল ছেলে
চাঁদপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার 
X
Fresh