যুবলীগ কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু, সুষ্ঠু তদন্ত ও শাস্তির দাবি এমপি মোরশেদ আলমের
নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়ন থেকে যুবলীগ কর্মী শাহিদুজ্জামান পলাশের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার পূর্ব মির্জানগর গ্রামে নিজবাড়ির পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনের ছেলে এবং স্থানীয় যুবলীগ কর্মী।
পলাশের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিজবাড়ির আঙিনায় রক্তাক্ত অবস্থায় পলাশের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন লোকজন। তার কপাল ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে খুনিদের শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম। মোরশেদ আলম জানান, তিনি গত ১০ বছর নোয়াখালী-২ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। দীর্ঘ এই সময়ে এলাকায় কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা কিংবা হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে অপপ্রচারে নেমেছেন।
তবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানার পর তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সোনাইমুড়ী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে এমপি মোরশেদ আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় লেখেন, ‘গতকাল ৬নং নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শাহিদুজ্জামান পলাশকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। আমি এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরও লেখেন, খুনি যে দলেরই হোক শাস্তি তাকে পেতেই হবে। আমি নিহত পলাশের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে টানা তিনবারের এই সংসদ সদস্য জানান, এই হত্যাকাণ্ড সুষ্ঠু তদন্তে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি সেই সঙ্গে কোনো নিরীহ লোক যেন হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন