• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রংপুর সিটি নির্বাচন

জাপার প্রার্থী চূড়ান্ত, আওয়ামী লীগ-বিএনপির দৃষ্টি কেন্দ্রে

জাহাঙ্গীর আলম বাদল

  ০৫ নভেম্বর ২০১৭, ২১:৩৯

আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। ৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা হলেও অনেক আগেই শুরু হয়েছে প্রচার প্রচারণা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত না হলেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ঘোষিত হয়েছে ৬ মাস আগেই। এ দুটি দল তাকিয়ে আছে কেন্দ্রের দিকে। ওখান থেকেই আসবে প্রার্থীর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

দেশের ৫ টি প্রাচীন জেলার অন্যতম রংপুর। সপ্তম বিভাগ হিসেবে কার্যক্রম শুরুর পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক জনসভায় রংপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার ঘোষণার পর ২০১১ সালে শুরু হয় সিটি করপোরেশনের সীমানা নির্ধারণ। ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ১৫ টি ওয়ার্ডের পৌরসভার আয়তন ৫২ বর্গ কিলোমিটার বর্ধিত হয়ে ৩৩ টি ওয়ার্ডে আয়তন হয় ২০৫ বর্গকিলোমিটার। দেড়শ’ বছর পর এই পৌরসভা সিটি করপোরেশনে রূপ নিয়ে প্রথম নির্বাচন হয় ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর।

বিভাগীয় নগরীর এই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে তাই সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, নাগরিক সমাজ ও ভোটারদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া অন্য নির্বাচনের চেয়ে অনেক বেশি ও গুরুত্বপূর্ণ।

এ বছরের ১৭ই মার্চ রংপুরে জাতীয় পার্টির মহানগর কমিটির বর্ধিত সভায় দলীয় চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দলের মনোনীত প্রার্থী মহানগর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার নাম ঘোষণা করেন। তখন থেকে জাতীয় পার্টি নগরজুড়ে সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করে ভোটার এবং নাগরিকদের মধ্যে সাড়া ফেলে।

বর্তমান মেয়র ছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগর কমিটির নেতারাও করছেন সভা-সমাবেশ গণসংযোগ। পিছিয়ে নেই বিএনপিও। যদিও এই প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

তবে রাজনৈতিক দলের নেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা চান অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। যোগ্যপ্রার্থীর মনোনয়ন এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সৎ ও যোগ্যপ্রার্থীর বিজয়।

রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, রংপুরে আওয়ামী লীগের একাধিক মেয়র প্রার্থী থাকলেও কেন্দ্র থেকে মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সবাই কাজ করবে।

এদিকে বিএনপির মহানগর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু জানান, সরকারের হামলা, মামলা ও দমনপীড়ন বন্ধ না হলে এই নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ অনেকটাই আশঙ্কাজনক।

তিনি অভিযোগ করেন, তফসিল ঘোষণার অনেক আগেই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পাটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা মিছিল মিটিং অবাধে করলেও বিএনপি প্রতিটি কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।

জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ রকিবুল হাসান বুলবুল বলেন, দলমত নির্বিশেষে একজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে দেখতে চাই নগর পিতার আসনে।

এ সিটি করপোরেশনে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ এবং নারী ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ১৯৬টি, ভোটকক্ষ ১ হাজার ১৭৭টি।

রংপুর সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় মেয়াদের এই নির্বাচন রাজনৈতিক অঙ্গনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রভাব যেমন পড়বে অন্য সব নির্বাচনে, তেমনি স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই স্তরে নাগরিক চাহিদা পূরণে কেমন প্রার্থী মনোনয়ন পায় এবং কেমন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয় তা নিয়ে নগরবাসীসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে জল্পনা-কল্পনা।

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh