নেত্রকোনায় দম্পতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা
নেত্রকোনা শহরের সাতপাই এলাকার বাবুল সরণি সড়কের নিজ বাড়ি থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ডাকাতিসহ হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার দিনগত রাত একটার দিকে দম্পতির ছেলে সুমন কান্তি বিশ্বাস নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলাটি করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নিহতদের ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোনসহ আনুমানিক চার লাখ টাকার মালামাল খোয়া গেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার বেলা একটার দিকে স্বামী মিহির কান্তি বিশ্বাস (৭০) ও স্ত্রী তুলিকা চন্দ্র সবিতার (৫৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মিহির কৃষ্ণ গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তুলিকা সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাঠকর্মী ছিলেন।
একতলা বাড়িটির একাংশের ভাড়াটিয়া সরকারি চাকরিজীবী রাজীব পণ্ডিতের সঙ্গে গত বুধবার সকালে সবশেষ দেখা হয় তুলিকা চন্দ্রের। সে সময় তুলিকা চন্দ্র কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এরপর থেকেই তাদের বাড়ি তালাবদ্ধ ছিল বলে জানালেন রাজীব। দুর্গন্ধ পাওয়ার পর শুক্রবার সকালে তিনি প্রতিবেশীদের ডাকেন। পরে পুলিশ এসে তালা ভেঙে রান্নাঘর থেকে তুলিকার ও বসার ঘর থেকে মিহিরের মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, বাড়িতে মিহির কান্তি ও তুলিকা চন্দ্র একাই থাকতেন। ছেলে সুমন বিশ্বাস ঢাকায় চাকরি করেন। আর মেয়ে সুস্মিতা বিশ্বাসের সিলেটে বিয়ে হয়েছে।
নেত্রকোনার পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলছেন, মিহির ও তুলিকার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। বাসার আসবাবপত্র ছড়ানো। ধারণা করা হচ্ছে, গেলো বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সুরতহালের ভিত্তিতে তিনি বলেন, তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
জেবি/সি
মন্তব্য করুন