টেকনাফ থেকে ভাষানচরেই নেয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করতে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাষানচরে নতুন শরণার্থী শিবির করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে টেকনাফ থেকে ভাষানচরে পুনর্বাসনের কথা রয়েছে।
মিয়ানমার সরকারের জাতিগত নিধনের তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৫ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী। পালিয়ে আসা এই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে পর্যটন এলাকা টেকনাফে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে সেসব এলাকার পরিবেশ।
রোহিঙ্গাদের এই বিশাল চাপ মোকাবেলায় নোয়াখালীর হাতিয়ায় জেগে উঠা ভাষানচরে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। এরইমধ্যে জোয়ার-ভাটার হাত থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন স্থানে বালু ফেলে উঁচু করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে হ্যালি প্যাডসহ কয়েকটি স্থাপনা ও সড়ক।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান জানান, ভাষানচর কতটা বাসযোগ্য ও জলবায়ুর পরিবর্তনে এ চরের গতিপথ কতটা পরিবর্তন হবে তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এ সব কিছুই রয়েছে প্রাথমিক যাচাই পর্যায়ে।
ভাষানচর রোহিঙ্গা পুনর্বাসন প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন আমিনুল ইসলাম খান বলেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ভাষানচর হবে একটি আধুনিক শরণার্থী শিবির। এখানে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বিনোদন কেন্দ্র, খেলারমাঠসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকবে।
এদিকে, হাতিয়াসহ উপকূলবাসী রোহিঙ্গাদের চরে আসার খবরে শঙ্কিত। তাদের মতে পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করতে পারে রোহিঙ্গারা।
আরকে/এসএস
মন্তব্য করুন