ভালুকায় বোমা বিস্ফোরণ : নিহত ‘জঙ্গির’ স্ত্রী-সন্তান আটক
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের কাশর এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে এক ‘জঙ্গি’ ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।
পালিয়ে যাবার সময় ওই ‘জঙ্গির’ স্ত্রী ও দুই সন্তানকে রাত ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের হবিরবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে, ভাড়াটিয়ার কোনো কাগজপত্র না রাখায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বাড়ির মালিক আলিম উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে।
বাড়ি মালিক জানান, নিহত ব্যক্তির বাড়ি কুষ্টিয়া বলে জানিয়েছিলেন। পরে কাগজপত্র দেবেন এ কথাও বলেছিলেন।
রোববার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের কাশর এলাকার ওই বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে অজ্ঞাত ১ ব্যক্তি নিহত হন। পুলিশের দাবি ওই ব্যক্তি ‘জঙ্গিগোষ্ঠীর’ সদস্য।
বিস্ফোরণের পেয়ে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। ঘরের ভেতরে আরো বোমা অথবা কেউ জীবিত আছে কিনা, তা পুলিশ নিশ্চিত নয়। রাত ৮টায় ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয় বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট আসার পর বাড়ির ভেতরে অভিযান চালানো হবে।
ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলমসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম জানান, ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কাশর এলাকায় আলিম উদ্দিনের বাড়িতে কয়েকটি টিনসেড ঘরে ভাড়াটিয়া রয়েছে। দু’দিন আগে নিহত ওই জঙ্গি গার্মেন্টসে চাকরির কথা বলে টিনসেড একটি ঘর ভাড়া নেন।
তিনি আরো বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘরের ভেতর বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটলে মারা যান তিনি। এসময় তার স্ত্রী ঘরের বাইরে রান্না করছিলেন এবং শিশু সন্তানটি খেলা করছিল। বোমায় স্প্রিন্টারে স্ত্রী-সন্তানও আহত হন। পরে হবিরবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই নারী তার শিশু সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার কথা বলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার একটু আগে ওই বাড়ির একটি ঘর থেকে বিকট শব্দ হয়। তারা একজনের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। বিস্ফোরণের সাথে সাথেই ওই জঙ্গির স্ত্রী তার শিশু সন্তানকে নিয়ে নিজেই হাসপাতালের কথা বলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
জেএইচ
মন্তব্য করুন