• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলকসহ ইসলামী আন্দোলনের ১৫ দাবি

বরিশাল প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২০ মে ২০২২, ২১:৩৫
ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলকসহ ইসলামী আন্দোলনের ১৫ দাবি
ছবি: সংগৃহীত

সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলকসহ ১৫ দফা দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

শুক্রবার (২০ মে) বিকেলে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এক বিভাগীয় সমাবেশে এ দাবি জানান চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চরমোনাই পীর রেজাউল করীমসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। েএ

বক্তারা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে মেগা প্রজেক্টের নামে ক্ষমতাসীনরা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। ১১৬ জন আলেম ওলামাকে বিতর্কিত করে ইসলামকেই হেয় করছে, সরকার পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলামি শিক্ষা বাদ দেবার পায়তারা চালাচ্ছে।

এ সময় চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ১৫ দফা দাবি জানান।

দাবিগুলো হলো-

১. যেকোনো মূল্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি রোধ করতে হবে। বাজার কারসাজীর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

২. দেশে মদ ও সকল ধরণের মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করতে হবে।

৩. শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। পূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় হিসেবে গণ্য করতে হবে।

৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুসলিম শিশুদের জন্য নামাজ শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৫. শিক্ষা সিলেবাস থেকে চরম নাস্তিকক্যবাদী সকল ধর্মবিরোধী, অবৈজ্ঞানিক ও বস্তাপঁচা ডারউইনের থিউরি বাদ দিতে হবে। কারান্তরীণ সকল মজলুম আলেম এবং রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।

৬. জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে।

৮. সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।

৯. তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং নির্বাচনের দিন সশস্ত্রবাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে।

১০.নির্বাচনে সকল দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। রেডিও, টিভিসহ সকল সরকারি বেসরকারি গণমাধ্যমে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে এবং রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সকল ধরণের হয়রানী বন্ধ করতে হবে।

১১. দুর্নীতিবাজদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।

১২. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।

১৩. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (চ.জ) নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।

১৪. গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রণীত বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে

১৫.সকল রাজনৈতিক দলের জন্যে সভা-সমাবেশসহ সাংবিধানিক স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক কর্মসূচি ও বাকস্বাধীনতা উন্মুক্ত করতে হবে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জনগণের জানমাল রক্ষার্থে বিএনপির সমাবেশের দিনে কর্মসূচি দিই: কাদের
বিএনপির পর আ.লীগের সমাবেশও স্থগিত
বিএনপির সমাবেশ স্থগিত
রাজধানীতে সমাবেশ করার ঘোষণা বিএনপির
X
Fresh