নববধূকে হেলিকপ্টারে বাড়ি আনলেন ব্যাংকার
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার পল্লীতে শখের বসে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে স্ত্রীকে ঘরে তুলেছেন রইসুল ইসলাম হিমু নামের এক ব্যাংকার।
শুক্রবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টারে করে কাহালু হতে স্ত্রীকে দুপচাঁচিয়ায় নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি।
বর ও কনের বাড়ি পাশাপাশি দুই উপজেলায়। দূরত্ব ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার মাত্র। তবুও ছেলের শখ পূরণ করতেই হেলিকপ্টারযোগে পূত্রবধূকে বাড়িতে আনার ব্যবস্থা করতে পেরে খুশি বরের পিতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজার এলাকার বাসিন্দা ও কাহালুর বামুজা ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. আব্দুল মান্নানের ছেলে রইসুল ইসলাম হিমু। তিনি বর্তমানে এক্সিম ব্যাংক নওগাঁ শাখার সিনিয়র অফিসার পদে কর্মরত। প্রায় দুই বছর আগে কাহালু উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বামুজা গ্রামের আব্দুর রশিদ মাস্টারের মেয়ে রেজিয়া আক্তার স্মৃতিকে বিয়ে করেন হিমু। সে সময় করোনার প্রকোপ থাকায় কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারেননি। প্রায় দুই বছর পর হেলিকপ্টারযোগে স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
এনজিও সংস্থা টিএমএসএসের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিসিএল অ্যাভিয়েশন হতে ভাড়া করা হেলিকপ্টারটি সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে বরের নিজ বাড়ি প্রিন্সিপাল প্যালেসের সামনে খোলা জায়গায় অবতরণ করে। এরপর বর হিমু তার পিতাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে কনের বাড়িতে যান। সেখান থেকে নববধূকে নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুনরায় বাড়িতে এসে নামেন হিমু। প্রত্যন্ত এলাকায় হেলিকপ্টারে করে বর কনে আসায় এলাকার উৎসুক মানুষ ভিড় করে।
বর রইসুল ইসলাম হিমু বলেন, শখ ছিল বিয়ে করে নববধূকে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে নিয়ে আসবেন। কিন্তু করোনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। তাই দুই বছর পর হেলিকপ্টারে করে স্ত্রীকে ঘরে এনে নিজের সেই শখ পূরণ করলাম।
বরের পিতা অধ্যক্ষ ড. আব্দুল মান্নান জানান, হেলিকপ্টার করে পুত্রবধূকে ঘরে এনে ছেলের শখ পূরণ করেছি মাত্র।
মন্তব্য করুন