শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, খাটের নিচে ছিল মরদেহ
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় রিক্তা খানম (৬) নামে এক শিশুকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে অভিযুক্ত ব্যক্তি আটক করা হয়। এর আগে একই দিন উপজেলার ঠাকুরকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিক্তা খানম একই গ্রামের মুক্তার হোসেনের মেয়ে। শিশুটি স্থানীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মক্তবভিত্তিক শিশু শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
আটককৃত ব্যক্তি উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের ঠাকুরকাঠি গ্রামের নওশের আলীর ছেলে নাজমুল হক (৩৫)।
প্রতিবেশী আক্তার আলী জানান, নিহত শিশুর বাবা ও প্রতিবেশী নাজমুল একই স্থানে বসবাস করে। শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্দেহ হলে নাজমুলকে তার বাড়ির পাশে গর্ত খোরার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তার চেহারায় অপরাধের চিহ্ন ভেসে ওঠে। এ সময় সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় অভিযুক্ত’র নিজ ঘরের খাটের নিচে বস্তার মধ্যে নিহত শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় নাজমুলকে আটক করে।
স্থানীয়দের ধারণা, শনিবার (২০ নভেম্বর) সকালে কোনো এক সময় শিশুটিকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনার সংবাদ পেয়েই ফোর্স নিয়ে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ গুমের জন্য আসামি তার নিজ ঘরের খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। শিশুটির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জিএম
মন্তব্য করুন