• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আসামিদের দ্রুত ফাঁসির রায় বাস্তবায়ন চান আবরার ফাহাদের মা

কুষ্টিয়া (স্টাফ রিপোর্টার), আরটিভি নিউজ

  ০৬ অক্টোবর ২০২১, ১৬:৪৮
আসামিদের দ্রুত ফাঁসির রায় বাস্তবায়ন চান আবরার ফাহাদের মা
বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদে

বুয়েটের শিক্ষার্থী নিহত আবরার ফাহাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার (৬ অক্টোবর) । দেশে-বিদেশে আলোচিত এই হত্যার দুই বছর পূর্ণ হলেও এখনো শেষ হয়নি মামলার রায়ের কাজ। বিচারের অপেক্ষা কাটেনি তার পরিবারের। দ্রুত সময়ে সব আসামিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বা ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবি তার পরিবারের।

বুধবার (৬ অক্টোবর) কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের বাড়িতে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন ছেলের ছবি নিয়ে চোখের পানি ফেলছেন।

চোখের পানি ফেলতে ফেলতে আরটিভি নিউজকে বলেন, আমার ছেলেকে অন্যায়ভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমি শুধু দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর চাই। ছেলে হারানোর ব্যাথা ভালো করে অনুভব করুক ওই সকল অপরাধীদের মায়েরা। পলাতকদেরও দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তিও চান তিনি।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দেশে-বিদেশে চরম আলোচিত হয়।

এ ঘটনার পরদিন ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে গত ১৪ মার্চ আত্মপক্ষ সমর্থনে ২২ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এ মামলায় মোট ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর মামলার চার্জে কিছু ত্রুটি থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি পুনরায় চার্জগঠনের আবেদন করেন। পরদিন আদালত ২৫ আসামির বিরুদ্ধে পুনরায় চার্জগঠন করে ১৪ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানির তারিখ ধার্য করেন। ওই দিন আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে দুই কার্যদিবস রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। এরপর বিচারকের অসুস্থতার কারণে শুনানি এক মাস পিছিয়ে যায়। ২০ অক্টোবর থেকে বিচারকাজ শুরুর কথা রয়েছে।

এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারের বাইরে থাকা ৬ জনের মধ্যে ৫ জনসহ মোট ২২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক রয়েছেন ৩ জন।

এজাহারে থাকা আসামিরা হলেন, মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এএসএম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম।

এমআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
নড়াইলে মাদক মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতা কারাগারে
X
Fresh