• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সরকারি কর্মচারীর হয়রানিতে অতিষ্ঠ প্রতিবেশীরা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৩৪
সরকারি কর্মচারীর হয়রানিতে অতিষ্ঠ প্রতিবেশীরা
প্রবাসী কল্যাণ শাখার হিসাব সহকারী সুব্রত কুমার বনিক

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রবাসী কল্যাণ শাখার হিসাব সহকারী সুব্রত কুমার বনিক (৪৫)। গত ২০ বছর যাবত তার প্রতিবেশীদের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে আসছেন এবং মোবাইল কোর্ট দিয়ে জেল-জরিমানারও হুমকি দিচ্ছেন।

সুব্রত শরীয়তপুর পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের নিরালা আবাসিক এলাকার মৃত মিহির কুমার বনিকের বড় ছেলে।

সুব্রতর হয়রানি থেকে বাঁচতে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরের ওই এলাকার ১৫ জন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি দরখাস্ত দিয়েছে স্থানীয় মো. বিল্লাল হোসেন খান।

নিরালা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও দরখাস্ত সূত্রে জানা গেছে, ৬০নং পালং মৌজার ৯৫০ দাগের পূর্বপাশে বিল্লাল হোসেন খানের জমি। ওই জমির ভিতর সম্পদ আছে বলে দাবি করেন সুব্রত কুমার বনিক। পরে অভিযোগ করলে সেসময় সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল ফজল মাস্টার, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হাকিম মুন্সীসহ স্থানীয় ২০ থেকে ২৫জন সালিশে জমির মীমাংসা করেন এবং সীমানায় পিলার স্থাপন করেন। ১৯ বছর আগে ৯৫০ দাগে ওই এলাকার কানাই লাল বনিকের দশ শতক জমি ক্রয় করেন সুশীল অধিকারী নামের এক ব্যক্তি। জমি ক্রয়ের ছয় মাস পর সেই জমির ওপর চিকন্দি আদালতে পি.এম.সন করার পায়তারা করেন সুব্রত। স্থানীয়রা সালিশে মীমাংসা করে চুক্তিপত্র করেন।

এছাড়া স্থানীয় সুশীল অধিকারী, আমির খাঁ, আনিছউদ্দিন ব্যাপারী জমি ক্রয় করেও ২০ বছর যাবত সুব্রতর বাঁধা ও হুমকির কারণে জমিতে বসতঘর সংস্কার করতে পারছেন না। অন্তত ১৫ বার জমি মাপার পরেও সুব্রতর প্রশাসনিক প্রভাব খাটানোর কারণে জনপ্রতিনিধি ও সালিশে মীমাংসায় ব্যর্থ হয়েছে।

এরপর গত ১০ আগস্ট সুব্রতর হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পেতে শরীয়তপুর পৌরসভায় একটি আবেদন করেন সুশীল অধিকারী। পরে ১৭ আগস্ট শরীয়তপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র বাচ্চু ব্যাপারী, কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন ব্যাপারী, সালিশ বাদল ব্যাপারী, পরিতোষ বনিক, জাহাঙ্গীর শেখ, মাস্টার জাহাঙ্গীর সরদার, বিল্লাল খান, সুব্রতর ভাই চঞ্চল বনিক, হিমেল বনিকসহ ৫০ থেকে ৬০ জন ও দুইজন আমিন জমি মেপে যার যার জমি বুঝিয়ে দেন। যা সুব্রত মেনে নেন। সকলের সিদ্ধান্তে সুব্রতসহ প্রত্যেকে তাদের সীমানায় সীমানা প্রাচীর তৈরি করছেন।

সবার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিল্লাল হোসেন খানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বরাবর আবার অভিযোগ করছেন সুব্রত। যার কারণে প্রতিবেশীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে।

বিল্লাল হোসেন খান, সুব্রতর চাচাতো ভাই পরিতোষ বনিকসহ ভুক্তভোগীরা আরটিভি নিউজকে বলেন, আমরা সুব্রতর বাঁধা ও হুমকির শিকার হচ্ছি। তুচ্ছ বিষয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করেন তিনি। শুধু তাই নয় তিনি ডিসি অফিসে চাকরি করছেন তাই মোবাইল কোর্ট দিয়ে জেল-জরিমানা করবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন আমাদের। ২২ সেপ্টেম্বর দরখাস্ত দেয়ার পরও এখনও কোন প্রতিকার পাইনি। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

তবে সুব্রত কুমার বনিক আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, আমি কাউকে মোবাইল কোর্ট দিয়ে জেল-জরিমানার হুমকি দেইনি, এটা মিথ্যা কথা। আমি সঠিকভাবে আমার জমি বুঝে পাইনি তাই অভিযোগ করেছি।

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শাখাওয়াত হোসেন মুঠোফোনে আরটিভি নিউজকে বলেন, বিষয়টিতো যেহেতু তাদের ব্যক্তিগত। অভিযোগটির বিষয়ে দেখবো।

এমআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে চাঁদপুরে বাজুসের মানববন্ধন
সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিশাল নিয়োগ, নেবে ১১৫ জন
দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা নিক্ষেপ
চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
X
Fresh