চাঁদপুরে ইলিশ কমার কারণ জানা গেল
‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ নামে খ্যাত পদ্মা-মেঘনা নদীতে এখন আগের মতো ইলিশ পাওয়া যায় না বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এর কারণ জানালেন চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিউটের মুখ্য ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান।
আজ শনিবার (২৮ আগস্ট) সকালে ‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি’, এই প্রতিপাদ্য ধারণ করে চাঁদপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ড. আনিসুর রহমানসহ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশাসহ অনেকে।
ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান বলেন, চাঁদপুরে ইলিশ না নিয়ে সবার প্রশ্ন। দুই-তিন বছর ধরে চাঁদপুরে ইলিশ কম। আমি গবেষণা করে দেখেছি, চাঁদপুরে ইলিশ চলাচলের রুটে নদীর তীব্র নাব্য-সংকট রয়েছে। এ ছাড়া বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদীর দূষিত পানিও একটি কারণ। সাগর থেকে ইলিশ আসার রাস্তাটি কেমন হতে হবে, সেটা বড় বিষয়। আসার রাস্তাটি নাব্যতা তৈরি হয়, তাহলে ইলিশ কীভাবে আসবে?।
তিনি বলেন, চাঁদপুরে ইদানীং অপরিকল্পিত ভাবে নদী থেকে যেভাবে বালু তোলা হচ্ছে। এটি সরাসরি ইলিশের বাস্তুতন্ত্রে আঘাত করে। শুধু ইলিশের ডিম নষ্ট করে তা-ই নয়, এটি অন্যান্য মাছেরও ক্ষতি করে।
তিনি আরও বলেন, গবেষণা চলছে। বাস্তুতন্ত্রের কারণে ইলিশ তাদের রুট পরিবর্তন করছে। ড্রেজিং করে বালু উত্তোলন করা হয়, সেটি পরিকল্পিতভাবে হলে আমরা উপকার পাব।
সভায় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, চাঁদপুরে জেলেদের নতুন করে হালনাগাদ করা হবে। যারা বাদ পড়েছে এবং মারা গেছে, সেসব জেলের নাম নতুন করে হালনাগাদ করা হবে। প্রকৃত জেলেরাই হালনাগাদে থাকবেন।
এসএস
মন্তব্য করুন