গৃহবধূকে নদীতে ডুবিয়ে দেয়ার চেষ্টা
বিয়ের মাত্র আট মাস হয়েছ। আর এটুকু সময়ের মধ্যেই স্বামীর মধ্যযুগীয় নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে মাইফুল নেছা (২৩) নামের এক গৃহবধূর।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাত সাড়ে আটটায় ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের বাদালার পাড় গ্রামের। আহত গৃহবধূকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
যৌতুকের দাবি না মেটানোর কারণে হাত, পা ও মুখ বেঁধে ভাঙ্গার খাল নদীর পানিতে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করেছে স্বামী, শ্বশুর ও দুই দেবর।
কিন্তু প্রতিবেশীরা ঘটনাটি দেখে ফেলায় ওই গৃহবধূকে নদীতে ফেলা সম্ভব হয়নি। নদীর পাড় থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনা জানতে পেরে পেয়ে প্রতিবেশী মো. সুমন আহমেদ ৯৯৯ করেন। এরপর পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মাইফুল নেছার ছোট ভাই মো. এবায়দুল্লাহ (২০) অভিযোগ করে আরটিভি নিউজকে বলেন, বিয়ের পর থেকেই তার স্বামীর বাড়ির আমার বোনকে নির্যাতন করছিল। যৌতুকের ৫০ হাজার টাকার দাবি মেটানোর পরও নির্যাতন বন্ধ করেনি। আজ তারা হাত পা বেঁধে আমার বোনকে নদীতে ভাসিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু মানুষ টের পাওয়ায় তারা পালিয়ে গেছে।
অভিযুক্ত আবু তাহের জান্নাতের সাথে কথা বলতে চাইলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।
বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই মো. শহিদুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং ওই গৃহবধূকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআই
মন্তব্য করুন